প্রকাশ: ১৮ আগস্ট, ২০২৫

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে হৃদয় আলী (১৫) নামে এক কিশোর ভ্যানচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর পাড়ের একটি বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে সেটি ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত হৃদয় কুমারখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এলংগী এলাকার ভ্যানচালক ইউনুস শেখের ছেলে। স্বজনদের অভিযোগ, ভ্যান ছিনিয়ে নিতে হৃদয়কে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। থানা চত্বরে ছেলে হারানোর শোকে বিলাপ করতে করতে হৃদয়ের বাবা ইউনুস শেখ বলেন, ‘তুরা ভ্যান নিবি, নে। আমার ছোয়ালকে মারলি ক্যান? ভ্যান ছিনিয়ে নিতে ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। থানায় মামলা করব। আসামিদের ফাঁসি চাই।’
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, রোববার বিকেলে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় হৃদয়। রাতে সে আর ফেরেনি। স্বজনেরা সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাননি। সোমবার সকালে কুমারখালী থানায় অভিযোগ দেন। এরপর বেলা ১১টার দিকে উপজেলার হাসিমপুর পদ্মা নদী পাড়ের একটি বাগানে ঘাস কাটতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন একটি গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে হৃদয়ের চাচা ফিরোজ শেখ মরদেহ শনাক্ত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পদ্মা নদীর কোলে হাসিমপুর বাঁধ। বাঁধ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে পদ্মার চর এলাকায় কৃষকেরা কলা ও সবজি চাষ করেন। ওই এলাকার একটি কলাবাগানের এক কোণে পড়ে ছিল মরদেহটি। নিহত হৃদয়ের গলা শ্বাসনালি পর্যন্ত কাটা ছিল। শরীরের বিভিন্ন স্থানেও ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।
গ্রাম পুলিশ নিমাই ঘোষ বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন ঘাস কাটতে গিয়ে লাশ দেখে আমাকে খবর দেয়। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ছবি তুলে পুলিশকে খবর দিই।’
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজের পরদিন খবর পেয়ে হৃদয় আলী নামের এক ভ্যানচালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভ্যান ছিনিয়ে নিতে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।