Advertisement

‘এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অধিকার নেই’— লিখে কিশোরীর আত্মহত্যা

যুগান্তর

প্রকাশ: ২১ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

বাবা-মা কেউ নেই শামীমা নাসরিনের। ২০০৯ সালের ৩১ মার্চ বাড়িতে নিয়ে আসেন রাজিয়া খাতুন। সেই থেকে লালন-পালন করেছেন। পড়াশোনা করছিলেন নার্সিং বিষয়ে।

বুধবার সন্ধ্যায় আত্মহত্যা করেন শামীমা নাসরিন। মৃত্যুর আগে তিনি একটি চিরকুট লিখে রেখে গেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বলিদাপাড়ার ওয়াপদা এলাকায়।

চিরকুটে তিনি লিখেছেন- ‘এই পৃথিবীতে আমার কেউ নেই। যে ছিল সে চলে গেছে। আমার আর অধিকার নেই এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার। আমার ইচ্ছার কোনো দাম নেই। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। আমি ইচ্ছা করেই আমার এই জীবন শেষ করে দিলাম।’

শামীমার পালিত মা রাজিয়া খাতুন বলেন, তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবিকা পদে চাকরি করতেন। আড়াই বছর বয়সে ওর মায়ের কাছ থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন শামীমাকে। এরপর আর কেউ তার পরিবার খোঁজখবর নেয়নি। মেয়েকে এইচএসসি পাশ করিয়ে নার্সিংয়ে ভর্তি করিয়েছিলেন; কিন্তু বুধবার সন্ধ্যায় সে আত্মহত্যা করেছে।

তিনি আরও বলেন, তিনতলা বাড়িতে শামীমা নিচতলায় থাকত। নিচতলায় কেউ না থাকায় সে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, সুরতহাল রিপোর্টে মেয়েটির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

আরও পড়ুন

Lading . . .