Advertisement

যৌনকর্মীদের নেটওয়ার্ক পরিচালনা করেন দুই বোন, এরপর...

প্রথম আলো

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

`দ্য ডেড গার্লস'–এর দৃশ্য। ছবি: আইএমডিবি
`দ্য ডেড গার্লস'–এর দৃশ্য। ছবি: আইএমডিবি

নেটফ্লিক্সে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ছয় পর্বের লিমিটেড সিরিজ ‘দ্য ডেড গার্লস’। মুক্তির পরই মেক্সিকান সিরিজটি উঠে এসেছে প্ল্যাটফর্মটির অ-ইংরেজিভাষী সিরিজের সেরা দশের তালিকায়। ১৯৬০-এর দশকের মেক্সিকোতে ঘটে যাওয়া ভয়ংকর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে সিরিজটিতে।
গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন দুই বালাদ্রো বোন সারাফিনা (পাউলিনা গাইটান) ও আর্সাঙ্গেলা (আরসেলিয়া রামিরেজ)। তাঁরা শহরজুড়ে যৌনকর্মীদের এক নেটওয়ার্ক পরিচালনা করেন।

ছয় পর্বে দেখানো হয়েছে, কীভাবে তাঁরা ভয় দেখিয়ে নিজেদের সাম্রাজ্য বিস্তার করেন, সে গল্প। পরে পুলিশ সক্রিয় হয়, নারীরাও রুখে দাঁড়ান। এরপর কী হয়, তা নিয়েই লুইস এসত্রাদার সিরিজটি। ‘দ্য ডেড গার্লস’তৈরি হয়েছে ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত লা মার্ডারসউপন্যাস অবলম্বনে। যা আবার লেখা হয়েছে ষাটের দশকের মেক্সিকোর সত্য ঘটনা অবলম্বনে। মুক্তির পর সমালোচকেরা প্রশংসা করেছেন সিরিজটির।

তাঁরা বলছেন, এটি কেবল ঐতিহাসিক পটভূমিতে নির্মিত নারীদের শোষণের গল্প নয়; বরং দুর্নীতি, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের আখ্যান। সিরিয়াস বিষয় নিয়ে নির্মিত হলেও নির্মাতা পুরো সিরিজ বানিয়েছেন হালকা ধাঁচে, যোগ করেছেন হাস্যরস; যা সিরিজটি দেখতে আরও বেশি দর্শককে আগ্রহী করবে।

সিরিজের প্রায় সব চরিত্রই ধূসর; পুরোপুরি সাদা বা পুরোপুরি কালো বলে কিছু নেই। সমালোচকেরা এমন জটিল চরিত্রে সারাফিনা চরিত্রে পাউলিনা গাইটানের অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। আর্সাঙ্গেলা চরিত্রে আরসেলিয়া রামিরেজ সমানভাবে শক্তিশালী। ভ্যারাইটির ভাষ্যে, দুই বোনের মধ্যে সম্পর্ক ও প্রতিযোগিতা দর্শককে শেষ পর্ব পর্যন্ত ধরে রাখে।

Lading . . .