Advertisement

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে

ঢাকা পোস্ট

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কেন্দ্র দখল, নমিনেশন কেনা-বেচা ও কালো টাকা বন্ধ করতে হলে পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, প্রয়োজনে অধ্যাদেশ জারি বা গণভোটের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। সনাতনী পদ্ধতিতে ভোট ডাকাতির নির্বাচন জনগণ কখনোই মেনে নেবে না। তিনি আগামী নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে করতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন

বুধবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর পল্লবীর স্থানীয় একটি মিলনায়তনে ঢাকা-১৬ আসনে ভোট কেন্দ্র পরিচালক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে গণরায় যাতে কেউ ছিনিয়ে নিতে না পারে, সে জন্য পোলিং এজেন্টসহ কেন্দ্র দায়িত্বশীলদের ময়দানে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।

সেলিম উদ্দিন বলেন, ড. ইউনূস সরকার জনগণকে সুষ্ঠু নির্বাচনের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো তা এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে চলেছে। তারা জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে জুলাই বিপ্লবের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে। তারা দেশ ও জাতির এ ঐতিহাসিক ও গৌরবোজ্জ্বল বিজয়কে নানাভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। ফলে তারা এখন কালো শক্তিতে পরিণত হতে চলেছে। এরা আগামীতে যেনতেনভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু তাদের সে ষড়যন্ত্র কখনোই বাস্তবায়িত হবে না। এদেশের মানুষ আর হাসিনা মার্কা নির্বাচন হতে দেবে না।

নির্বাচনী কেন্দ্র জবরদখলের চেষ্টা করলে জুলাই বিপ্লবীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা সফলভাবে প্রতিহত করবে। তিনি সংশ্লিষ্টদের নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করে ইতিবাচক রাজনীতি ফিরে আসার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের কাছে করা অঙ্গীকার অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর অঙ্গুলি হেলনে নির্বাচন অনুষ্ঠান বা সরকার পরিচালনা করলে চলবে না। সবকিছু করতে হবে জুলাই বিপ্লবের চেতনার আলোকে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারে প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার আঁতাত করে ‘সেইফ এক্সিট’ নেওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে তা প্রতিহত করবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. রেজাউল করিম বলেন, নির্বাচন বানচাল হলে দায়ী থাকবে পাথর বাহিনী ও চাঁদাবাজ বাহিনী। ইতোমধ্যেই হেলমেট বাহিনীর কাজ পাথর বাহিনী আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন একসঙ্গে হওয়ার কথা থাকলেও একটি মহল কেবল নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ত। তিনি সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা বা জনআকাঙ্ক্ষা পূরণ না করে কোনো বিশেষ দলকে ক্ষমতায় বসানো হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অবৈধ সরকারে পরিণত হবে। তিনি পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন যে, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে আগামীর বাংলাদেশ হবে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের বাংলাদেশ।

জেইউ/বিআরইউ

Lading . . .