গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে উদিত সূর্যকে অস্তমিত হতে দেওয়া যাবে না
প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে উদিত গণতন্ত্রের সূর্যকে অস্তমিত হতে দেওয়া যাবে না।
শনিবার (৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জুলাই বিপ্লব : গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারের আয়োজন করে হিউম্যান রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশন।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সূর্য নতুন করে উদয় হয়েছে। এই উদীয়মান গণতন্ত্রের সূর্যকে আর কখনো বাংলাদেশে অস্তমিত হতে না দেওয়া যাবে না।
জুলাই আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, জুলাইয়ের প্রতিটি যোদ্ধার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা। তারা ফ্যাসিস্ট হাসিনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজেরা জীবন দিয়ে সমগ্র জাতিকে একটি ফ্যাসিস্ট রেজিম থেকে উদ্ধার করে জাতিকে মাথা তুলে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে।
শহীদ জিয়াউর রহমান শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা এবং সততার জন্য সুপরিচিত ছিলেন উল্লেখ করে বাবার মুখ থেকে শোনা শহীদ জিয়াউর রহমানের একটি ঘটনার কথা তুলে ধরে মঈন খান বলেন, একটি সভায় শহীদ জিয়াউর রহমান সকাল ১০টায় গিয়ে দেখেন যে আয়োজকদের কয়েকজন ছাড়া অন্য কোনো অতিথি উপস্থিত হননি। তখন তিনি মাইক নিয়ে খালি টেবিলে নিজেই তার বক্তব্য সময় মতো দিয়ে চলে যান -- এই বলে যে, কে এলো বা না এলো তা তার দেখার বিষয় নয়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রাজনীতি থেকে অনেক কিছু শেখার আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানকে অখ্যাত মেজর বলে সমালোচনা করে। কিন্তু আওয়ামী লীগ উপলব্ধি করতে পারেনি যে এই অখ্যাত মেজরই নিজের এবং বেগম খালেদা জিয়ার জীবন বিপন্ন করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ এই উদারতা বুঝতে পারেনি যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বয়ং স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে এসে রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছিলেন। উদারতা হলো বিএনপির সবচেয়ে বড়গুণ। তিনি বিএনপিকে একটি সেন্ট্রিস্ট বা মধ্যপন্থি দল হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যারা কোনো চরম ডান বা বামপন্থি নয়। বাংলাদেশের মানুষও এই মধ্যপন্থি নীতি পছন্দ করে এবং কোনো চরম নীতি অনুমোদন করে না।
তিনি বিএনপির উপর আওয়ামী লীগের অত্যাচারের কথা তুলে ধরে বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ বিএনপির বিরুদ্ধে এক লাখেরও বেশি মামলা দিয়েছে এবং ৫০ লাখ নেতাকর্মীকে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান থেকে শুরু করে গ্রামের নিরীহ ছাত্র পর্যন্ত শেখ হাসিনার নিষ্ঠুর পুলিশ বাহিনী দ্বারা নির্যাতিত ও অত্যাচারিত করেছে। পুলিশের ভয়ে আমাকে ভাওয়ালের গজারি বন এবং ধানের ক্ষেতে রাত কাটাতে হয়েছে।
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক আহমেদ হুসেইনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা কলেজের অধ্যাপক মো. আনোয়ার মাহমুদ। আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এফ রহমান হলের ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মো. মুস্তাফিজুর রহমান সেগুন প্রমুখ।
ওএফএ/জেডএস