Advertisement

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে গণতন্ত্র ফিরবে না: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ

দৈনিক সংগ্রাম

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫

জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। ফাইল ছবি
জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, জাতীয় পার্টি অবশ্যই নির্বাচন চায়, কিন্তু কোনো যেন-তেন নির্বাচন চায় না। নির্বাচনের আগে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি করতে হবে।

কিন্তু বর্তমানে দেশের যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাতে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আর নির্বাচন স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য না হলে কোনোভাবেই গণতন্ত্র ফিরে আসবে না।

শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে রাজধানীর গুলশানে জাতীয় পার্টি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ব্যারিস্টার আনিসুল বলেন, প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে। সাংবাদিকরা হত্যাকাণ্ড থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এই অবস্থায় দেশে কোনোভাবেই অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, গেল বছরের ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর দেশের রাজনীতিতেও পরিবর্তন এসেছে। এই প্রেক্ষাপটে আমরা জাতীয় পার্টিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছি। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে প্রায় দেড় হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে। তাদের জীবন আমরা বৃথা যেতে দেব না। আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব। যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। দেশের সব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব। প্রতিষ্ঠিত করব গণতন্ত্র। তবে দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার আগে নিজের দলেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্ব এসেছে। এখন থেকে জাতীয় পার্টি গণতান্ত্রিক উপায়ে যৌথ নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে পরিচালিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কালো মেঘ সৃষ্টি হয়েছে। সব দলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এই কালো মেঘ কেটে যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টি সব সময় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা একসময় আমাদের স্বৈরাচার বলতো। কিন্তু তারা প্রমাণ করতে পারেনি আমরা স্বৈরাচার।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা।

শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, নাজমা আকতার, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, সরদার শাহ জাহান, হারুন আর রশিদ, নজরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম মিলন, ইয়াহিয়া চৌধুরী মো. ইয়াকুব হোসেন, শেখ আলমগীর হোসেন, নীগার সুলতানা রানী, মো. বেলাল হোসেন, ফখরুল আহসান শাহজাদা, নাসির উদ্দিন সরকার, গোলাম মোস্তফা, হাফেজ মাহমুদুর রহমান, সেরনিয়াবাত সেকান্দার আলী, শারমিন পারভীন লিজা, মিজানুর রহমান দুলাল, তাসলিমা আকবর রুনা, শারমিন আকতার আবুল কালাম আজাদ, এস এম হাসেমসহ সর্বস্তরের নেতারা।

আরও পড়ুন

Lading . . .