‘বিতর্কিত’ ৩ নির্বাচন আয়োজনে জড়িতরা যেন দায়িত্ব না পান
প্রকাশ: ৭ আগস্ট, ২০২৫

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, যারা গত ৩টি নির্বাচনে জড়িত ছিলেন সেসব পুলিশ কর্মকর্তার নাম যেন লটারিতে না থাকে। তিনি বলেন, যাদের কারণে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে সেসব অফিসাররা যেন আগামী নির্বাচনে কোনো দায়িত্ব না পান।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র ও জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা: অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স কাউন্সিলের (বিসিআরসি) উদ্যোগে এ গোলটেবিল আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স কাউন্সিলের সভাপতি আলী আশরাফ আখন্দ। প্রধান আলোচক ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব।
তিনি বলেন, যারা বিশ্বাস করতেন এই সরকার নির্বাচন দেবে না, গণভোট ও পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন হবে না তাদের কথা ভুল প্রমাণ করে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার রমজানের আগে যেন সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়ে জনপ্রতিনিধির হাতে দেশের ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারেন সেই প্রত্যাশা করি। এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও নির্বাচন না হওয়ায় দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছে। আওয়ামী লীগ আবার ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ নিয়েছে। তাই আর বিলম্ব নয়, নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার আহ্বান জানাই।
বক্তব্য দেওয়ার সময় ফারুক তার ব্যক্তিগত জীবনের এক স্মৃতি তুলে ধরেন বলেন, ২০০৮ সালে কারাগারে থাকাকালীন তার মা মারা যান, কিন্তু প্যারোলে মুক্তি না পাওয়ায় তিনি তার মায়ের মুখ শেষবারের মতো দেখতে পারেননি। তিনি তার প্রয়াত বন্ধু শাহজাহান সিরাজের একটি উক্তি স্মরণ করে বলেন, রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে অনেক কিছু হারাতে হয় এবং সবকিছু ভুলে যেতে হয়।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যদি তিনি দেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস না করতেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো নষ্ট না করতেন এবং বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা না দিতেন তবে হয়ত আজ তাকে পালিয়ে যেতে হতো না।