Advertisement

মেয়াদ শেষ হলেও শুরু হয়নি সাবমার্সিবল প্রকল্পের কাজ

কালবেলা

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫

ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

বগুড়ার ১২টি উপজেলায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর যে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল, সেটির মেয়াদ শেষ হলেও এখনো কাজ শুরু হয়নি। ফলে প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রায় ১২ কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন না হলে জেলার ১ হাজার ২৭৬টি পরিবার বঞ্চিত হবে সাবমার্সিবল পাম্প সুবিধা থেকে।

বগুড়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নেমে যাচ্ছে। পাশাপাশি পানিতে অতিরিক্ত আর্সেনিক ও আয়রন থাকায় জেলার বহু নিম্ন আয়ের মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাচ্ছে।

এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে জেলার ১২টি উপজেলায় ১ হাজার ২৭৬টি সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর উদ্যোগ নেয়। ১১ কোটি ৯৮ লাখ টাকার বেশি ব্যয়ে নেওয়া এ প্রকল্পে বগুড়া সদর, গাবতলী ও ধুনট উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ব্যয় ধরা হয়েছিল। চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে শুরুই হয়নি প্রকল্পের কাজ।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের অক্টোবরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। পরে নির্বাচিত ঠিকাদারদের কার্যাদেশও দেওয়া হয়। কিন্তু ঠিকাদাররা সময়মতো কাজ শুরু করেননি। আর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বগুড়া অফিস থেকেও এ নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে জুনের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। একটি সূত্রের দাবি, ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশ করে অর্থ লোপাটের উদ্দেশ্যে নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

প্রকল্পের কাজ না হওয়ায় সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চিহ্নিত সুবিধাভোগীরা। জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বগুড়া কার্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়, প্রতিটি ইউনিয়নে ১২টি করে সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর কথা ছিল; কিন্তু বাস্তবে কোনোটিই বসানো যায়নি। যদিও সুবিধাভোগীদের চূড়ান্ত যাচাইবাছাই সম্পন্ন হয়েছে।

সোনাতলা উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী জাহানারা খাতুন কালবেলাকে জানান, তার উপজেলায় সাত ইউনিয়নে ১২টি করে মোট ৮৪টি সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর পরিকল্পনা ছিল। তালিকা চূড়ান্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। তবে কাজ কবে শুরু হবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, এসব কাজ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা তদারকি করছেন।

অন্যদিকে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বগুড়া অফিস থেকে দাবি করা হয়েছে যে, প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে প্রকৃতপক্ষে মেয়াদ বাড়ানো হয়নি।

এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া কালবেলাকে জানান, মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। ঠিকাদারদের গড়িমসির কারণেই কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে। কার্যাদেশ দেওয়ার পরও তারা কাজ করেননি। এ অবস্থায় কী ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি তা স্পষ্টভাবে জানাতে পারেননি।

Lading . . .