পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের দাবিতে আরবি বিভাগে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’
প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

পরীক্ষার চার মাসেও ফলাফল প্রকাশ না হওয়ার প্রতিবাদে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে তাঁরা বিভাগের শ্রেণিকক্ষ, অফিস ও সেমিনার লাইব্রেরিতে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান করছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ওই বিভাগের নোটিশ বোর্ডে ‘ডিপার্টমেন্ট অব অর্ডিন্যান্স, ফরমার আরবি ডিপার্টমেন্ট’ হাতে লেখা ফেস্টুন ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এতে বিভাগের ক্লাসসহ অন্যান্য দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ আছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার পর থেকে শিক্ষার্থীরা তালা ঝুলিয়ে দিয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন। একই দাবিতে গতকালও বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা। দাবি মেনে না নিলে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, এর আগেও গত ২৫ আগস্ট তাঁরা ফলাফল প্রকাশের দাবিতে বিভাগে তালা দিয়েছিলেন। পরে শিক্ষকদের মৌখিক আশ্বাসে তালা খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় তাঁরা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ফল প্রকাশের দাবি নিয়ে বিভাগে গেলে কর্তৃপক্ষ বারবার ‘অর্ডিন্যান্সের’ অজুহাত দিয়ে কালক্ষেপণ করছে।
বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যখনই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের বিষয়ে জানতে চাই, সভাপতি বলেন পরীক্ষা কমিটির সভাপতি জানেন। পরীক্ষা কমিটির সভাপতির কাছে গেলে তিনি অর্ডিন্যান্সের অজুহাত দেন। চার মাস ধরে আমরা এই সমস্যায় ভুগছি। সামনে আমাদের অনেক চাকরির পরীক্ষা আছে। বিভাগে বারবার কথা বলতে গেলে অর্ডিন্যান্সের অজুহাত দিয়ে আমাদের ফলাফল প্রকাশকে পেছানো হচ্ছে। প্রতিবাদে আমাদের এই আন্দোলন।’
একই বর্ষের শিক্ষার্থী মাহাদী হাসান বলেন, এর আগেও তাঁরা ফলাফল প্রকাশের দাবিতে বিভাগে তালা দিয়েছিলেন। পরে শিক্ষকদের মৌখিক আশ্বাসে তালা খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফলাফল প্রকাশ হয়নি। তাঁদের পরীক্ষার ফলাফল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান রাখবেন।
এ ব্যাপারে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বেলাল হোসেন বলেন, ‘একজন সম্মানিত শিক্ষকের কোর্সের নম্বর না পাওয়ায় আমরা ফলাফল দিতে পারছি না। আজ তাঁর নম্বর জমা দেওয়ার কথা। নম্বর পেলেই আমরা দ্রুত ফলাফল প্রকাশের ব্যবস্থা নেব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দীন বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি। সকাল থেকে একটি মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এখন আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করব।’