Advertisement

পাবনায় এক পরিবারের তিনজনকে হত্যার দায়ে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড

প্রথম আলো

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট, ২০২৫

পাবনায় এক পরিবারের তিনজনকে হত্যার দায়ে দণ্ড পাওয়া তানভীর হোসেনকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। আজ সোমবার বিকেলে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণেছবি: প্রথম আলো
পাবনায় এক পরিবারের তিনজনকে হত্যার দায়ে দণ্ড পাওয়া তানভীর হোসেনকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। আজ সোমবার বিকেলে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণেছবি: প্রথম আলো

প্রথমে বিশ্বাস অর্জন করে পরিবারে ঠাঁই নেন। এরপর সেই পরিবারের তিনজনকে হত্যা করে লুটে নেন স্বর্ণালংকার ও টাকাপয়সা। পাবনায় এমন এক মামলায় তানভীর হোসেন (৪০) নামে মসজিদের এক ইমামকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার বিকেলে পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত–৩–এর বিচারক তানবীর আহম্মেদ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত চুরির দায়ে তাঁকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। দণ্ড পাওয়া তানভীর হোসেন নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার হরিপুর পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পাবনা জেলা শহরের দিলালপুর মহল্লার ফায়ার সার্ভিস জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, তানভীর হোসেন প্রথমে মুদিদোকানদার ছিলেন। পরে মসজিদে ইমামতি শুরু করেন। এ সুবাদে মহল্লার ভাড়াটে আবদুল জব্বার ও তাঁর স্ত্রী ছুম্মা বেগমের সঙ্গে পরিচয় হয়। এই দম্পতির সানজিদা খাতুন নামের একটি পালিত কন্যা ছিল। নিজেদের কোনো সন্তান না থাকায় তাঁরা তানভীরকে সন্তানের মতো দেখতেন। ওই বাড়িতে তাঁর নিয়মিত যাতায়াত ছিল।

২০২০ সালের ৩১ মে তানভীর গ্রামের বাড়ি থেকে এসে রাতে আবদুল জব্বারের বাসায় ওঠেন। পবিত্র রমজান মাস হওয়ায় রাতের খাওয়া শেষে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। এই সুযোগে তানভীর কুপিয়ে ও মাথা থেঁতলে তিনজনকে হত্যা করে বাড়িতে থাকা টাকা, স্বর্ণালংকার ও দামি মালামাল নিয়ে বাইরে দরজায় তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার তিন দিন পর বাড়ি থেকে পচা গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় আবদুল জব্বারের ভাই আবদুল কাদের বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা ও চুরির মামলা করেন। পরে তানভীরকে তাঁর গ্রামের বাড়ি থেকে চুরির মালামালসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি পুলিশ তানভীরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এরপর আদালত মামলাটির দীর্ঘ শুনানি ও ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবুল কালাম আজাদ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ড পাওয়া আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে।

Lading . . .