‘আর কোনো মা-বোনকে যেন স্বামী-সন্তানের জন্য কাঁদতে না হয়’
প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আ্যটার্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, আমরা এমন একটি সংবিধানের স্বপ্ন দেখি- যে সংবিধানে আর কোনো মা-বোনকে স্বামী সন্তানের জন্য যেন রাতে অপেক্ষা করতে না হয়। কোনো মা-বোনকে যেন তাহাজ্জুদে বসে কাঁদতে না হয়। কোনো কার্টুনিস্টকে যেন জেলে মরতে না হয়।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও সাংবিধানিক পুনর্গঠনে তরুণদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা সাংবিধানিকভাবে এমন একটি জায়গায় যেতে চাই, যেখানে সকল শহীদদের রক্তের মূল্য দেওয়া হবে৷ স্বৈরাচার সরকারের পতনের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছি। আমরা রাষ্ট্রকে একটি সুসংগঠিত কাঠামোর মাধ্যমে গড়ে তুলব। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১৫ শতাধিক মানুষ শহীদ হয়েছে, ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে এবং গত ১৭ বছরে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নির্বিচারে শহীদ হয়েছে। ৬০ লাখ মানুষ বিনাদোষে রাজনৈতিক মামলার স্বীকার হয়েছে যার ৯৯ শতাংশ মামলার বাদী ছিল পুলিশ।
তিনি বলেন, ৩০ হাজার মানুষকে গুম করা হয়েছে, আমরা এই অপরাধের বিচার করতে যাচ্ছি। এই অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ায় যারাই অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদেরকে বিচারের সম্মুখীন করা হবে। বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায়- ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ এই নীতি প্রতিষ্ঠায় যত বাধা-বিপত্তি আসুক সব মোকাবিলা করব। জুলাইয়ে শহীদদের রক্তের দাম অব্যশই রাখা হবে। আমি জুলাই চেতনাকে ধারণ করার জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলব। এ সময় অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, রাষ্ট্রের সকল সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হলো সুশিক্ষা। শ্রেষ্ঠতম সংবিধান অনেক খারাপ কাজ আটকে দিতে পারে কিন্তু একটি সুন্দর রাষ্ট্র গঠন করতে পারে না। ২৪ এর জুলাই আগস্ট আমাদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। নতুন চিন্তাকে ধারণ করতে হলে আমাদের পুরোনো ধারা থেকে বেরিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, দেশের প্রতি ভালোবাসার চেতনাকে ধারণ করতে দেশাত্মবোধক গান শোনা লাগে না। আমাদের সবাইকে দেশকে ভালোবেসে নিজস্বতা প্রকাশের বদলে কাজ দেখাতে হবে।