অসুস্থ ননদকে দেখে বাড়ি ফেরা হলো না দুই জায়ের
প্রকাশ: ৭ আগস্ট, ২০২৫

শরীফা বেগমের বড় ননদ রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ছোট ননদ, বড় জা, মেজ জা ও মেয়েকে নিয়ে ননদকে দেখতে হাসপাতালে যান। সেখান থেকে ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই দিন রাত সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার গোপালহাটি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি।
ওই দুর্ঘটনায় আজ বুধবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভ্যানচালক মোহাম্মদ আলী মারা যান। দুপুরে মারা গেছেন শরীফার বড় জা।
শরীফা বেগমের (৪০) বাড়ি উপজেলার তারাপুর গ্রামে। তাঁর স্বামীর নাম মো. মাহাবুবুর রহমান। বড় জায়ের নাম হাসুরা বেগম (৫৫)। তাঁর স্বামীর নাম মো. ইব্রাহিম। নিহত ভ্যানচালকের বাড়ি উপজেলার দৈপাড়া গ্রামে। শরীফাকে বুধবার সকালে তারাপুর গ্রামের পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয়। মোহাম্মদ আলীকেও দুপুরে দাফন করা হয় দৈপাড়া গ্রামের গোরস্তানে। বিকেল ছয়টা পর্যন্ত হাসুরা মরদেহ হাসপাতালেই ছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরীফার স্বামী মাহাবুবুর রহমান।
পবা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী বুধবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কের পুঠিয়া থানার গোপালহাটি এলাকার আল ইনছানিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে পৌঁছালে ভ্যানটিকে একটি বাস অথবা ট্রাক পেছন থেকে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ভ্যানটি ছিটকে রাস্তার বাঁ পাশে খাদে পড়ে যায়। এই ভ্যানে শরীফা ছাড়াও তাঁর বড় জা হাসুরা বেগম, মেজ জা শরীফা (৩৯), ছোট ননদ রাশিদা বেগম (৪১) ও শরীফার বড় মেয়ে বৃষ্টি খাতুন (২২) ছিলেন।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। হাসপাতালের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে শরীফাকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত ভ্যানচালক মোহাম্মদ আলীসহ অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভ্যানচালক মোহাম্মদ আলী মারা যান। বেলা আড়াইটার দিকে হাসুরার মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়।
হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক জানান, তাঁরা কোনো প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে নিশ্চিত হতে পারেননি, বাস না ট্রাক ধাক্কা দিয়েছে। এ বিষয়ে পুঠিয়া থানায় মামলা হয়েছে।