Advertisement

পাহাড়িয়াদের জমি দখলের চেষ্টা করলে লালঘরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হন: মিজানুর রহমান মিনু

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সমাবেশে কথা বলছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরের মোল্লাপাড়া এলাকায়ছবি: প্রথম আলো
সমাবেশে কথা বলছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরের মোল্লাপাড়া এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহীর মোল্লাপাড়ার পাহাড়িয়া সম্প্রদায়কে উচ্ছেদচেষ্টার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, ‘পাহাড়িয়াদের কেউ উচ্ছেদ করতে পারবে না। এখানে আপনারা যুগের পর যুগ আছেন। এখানে আপনাদের জন্ম হয়েছে, পূর্বপুরুষেরা মারা গেছেন। এই মাটি আপনাদের ছিল, আপনাদের আছে, সারা জীবন আপনাদেরই থাকবে। আপনাদের কেউ এখান থেকে তুলতে পারবে না। কোনো ভয় নাই। নিজেদের অসহায় ভাববেন না। আমরা সবাই আছি আপনাদের সঙ্গে।’

আজ সোমবার সন্ধ্যায় মোল্লাপাড়ায় পাহাড়িয়াদের নিয়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনারুল ইসলাম, পাহাড়িয়া সম্প্রদায়ের সরদার বাবলু বিশ্বাস, মহল্লার বাসিন্দা বিশনি বিশ্বাস ও সরলা বিশ্বাস।

জমির দাবিদার সাজ্জাদ আলীর উদ্দেশে মিজানুর রহমান বলেন, ‘যাঁরা ভুয়া দলিল করেছেন, তাঁরা রেডি হয়ে যান। যাঁরা মনে করছেন, গরিব মানুষকে ভয় দেখাবেন এবং এ জমি দখলের চেষ্টা করছেন, তাঁরা লালঘরে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে যান।’

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাপাড়ায় মুক্তিযুদ্ধের পর ছয়টি পাহাড়িয়া পরিবার বাড়ি করার সুযোগ পায়। তিন প্রজন্মে এখন বাড়ি হয়েছে ১৬টি। এত দিন পর সাজ্জাদ আলী নামের এক ব্যক্তি এই ১৬ কাঠা জমির মালিকানা দাবি করেন। তিনি ১৬টি পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা দিয়ে উচ্ছেদের আয়োজন করেছিলেন। এ নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে পুলিশ-প্রশাসন তৎপর হয়ে ওঠে। ওই মহল্লাবাসীর পাশে দাঁড়ান আদিবাসী সংগঠনের নেতা-কর্মী, রাজনৈতিক নেতা–কর্মী, মানবাধিকারকর্মী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও উন্নয়নকর্মীরা। পাহাড়িয়াদের উচ্ছেদচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

Lading . . .