তিন কিস্তিতে লাখ টাকা, ১০ কেজি ইলিশ ঘুষ নেন তদন্ত কর্মকর্তা
প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ধর্ষণ মামলায় চার্জশিট দেওয়ার কথা বলে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পরিবারে দাবি, ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাদের কাছ থেকে তিন কিস্তিতে এক লাখ টাকা এবং ১০ কেজি ইলিশ ঘুষ নিয়েছেন। এরপর তিনি উল্টো ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বিপক্ষেই প্রতিবেদন দিয়েছেন।
শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে যমুনার চরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান মেয়েটির বাবা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাকপ্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করেন প্রতিবেশী ছানোয়ার বেপারির ছেলে শহিদুল ইসলাম। পরে এলাকার গণ্যমান্যরা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু অভিযুক্ত শহিদুলের প্রভাবশালী পরিবার এতে সাড়া দেয়নি। এরপর মেয়েটির বাবা থানায় মামলা করতে যান; কিন্তু প্রভাবশালীদের বাধার মুখে করতে পারেননি। পরে তিনি আদালতে মামলা করেন।
আদালত মামলাটির তদন্তভার দেন শাহজাদপুর থানার তৎকালীন এস আই আনিছুর রহমানকে। সম্প্রতি তিনি অন্যত্র বদলি হয়েছেন। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর এস আই আনিছুর প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলে মেয়েটির পরিবারের কাছে তিন কিস্তিতে এক লাখ টাকা নেন। এ ছাড়া ১০ কেজি ইলিশও নেন তিনি। এর কিছুদিন পর মামলার বিবাদীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে ‘ধর্ষণের ঘটনা ভিত্তিহীন’ বলে আদালতে প্রতিবেদন দেন এস আই আনিছুর। প্রতিবেদন দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি সাক্ষীদের বক্তব্য নেননি। পরে মেয়েটির বাবা ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেন।
বর্তমানে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ তদন্ত করছে। সংবাদ সম্মেলনে কিশোরীর বাবা আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
তবে ঘুষের বিনিময়ে ভুক্তভোগীর বিপক্ষে প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এসআই আনিছুর। তিনি বলেন, ‘ভুক্তভোগীর কাছ থেকে আমি কোনো টাকা-পয়সা নেইনি। এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’