প্রকাশ: ১০ আগস্ট, ২০২৫

রাজশাহীর বাঘায় পদ্মায় পানি বৃদ্ধিতে বেকায়দায় পড়েছেন চরবাসী। তিন দিনের ব্যবধানে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে চরের নিচু এলাকায় বসবাসকারীরা পড়েছেন মহাসমস্যায়। উঁচু জায়গা না পেয়ে পানির মধ্যে অনেকেই বেঁধে রেখেছেন গরু।
জানা গেছে, বাঘা উপজেলার পদ্মার মধ্যে ১৫টি চর রয়েছে। এসব চরের বেশির ভাগ মানুষ ভূমিহীন অসহায় খেটেখাওয়া মানুষ। তারা প্রতিনিয়ত প্রকৃতির খামখেয়ালি রূপকে বরণ করে বসবাস করছেন। আর এদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ শুকনো মৌসুমে কৃষি কাজ আর বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। চরে অবকাঠামোগত উন্নয়নের গতি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক মন্থর।
চরে ফসল, সম্পদ ও জনবসতি রক্ষার জন্য কোনো বাঁধ নেই। এসব চরে বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ হয়ে থাকে। কোনো চরে ভরা জোয়ারের পানির প্লাবন থেকে রক্ষা করার ব্যবস্থা নেই। এসব চরে ফসল উৎপাদনের বিষয়টি প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। তারা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করছে, তেমনি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে আছে। তাই তারা সম্পদের মালিকানা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাসহ মৌলিক অধিকার বঞ্চিত হতে হয় অনেক সময়।
পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে চরে বসবাস করি। ভয়াবহতার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। তবে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কের মধ্যে আছি।
চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, কয়েক বছরের ব্যবধানে পদ্মার ভাঙনে প্রায় সহস্রাধিক বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, হাট-বাজার, বিজিবি ক্যাম্প, হাজার হাজার বিঘা আবাদি-অনাবাদি জমি চলে গেছে পদ্মার গর্ভে। ভাঙনে গৃহহারা হয়েছেন হাজারও পরিবার।
পদ্মার চরের মধ্যে ১৫টি চর নিয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হয়েছে। পদ্মায় পানি বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবে মানুষ আতঙ্কিত হচ্ছেন। ইতোমধ্যে নিচু এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। অনেকেই গরু ছাগল নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন।
আরও পড়ুন