Advertisement

সড়কে রক্তমাখা প্রাইভেট কার, পাশেই পড়ে ছিল চালকের গলাকাটা লাশ

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

নাটোরের লালপুরে উদ্ধারকৃত প্রাইভেটকার। গতকাল রাতে উপজেলার গোপালপুর নর্থবেঙ্গল সুগার মিলস হাইস্কুলের পাশের লালপুর-বনপাড়া সড়কেছবি: প্রথম আলো
নাটোরের লালপুরে উদ্ধারকৃত প্রাইভেটকার। গতকাল রাতে উপজেলার গোপালপুর নর্থবেঙ্গল সুগার মিলস হাইস্কুলের পাশের লালপুর-বনপাড়া সড়কেছবি: প্রথম আলো

নাটোরের লালপুর উপজেলায় একটি প্রাইভেট কারের পাশ থেকে চালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার গোপালপুর নর্থবেঙ্গল সুগার মিলস হাইস্কুলের পাশের লালপুর-বনপাড়া সড়ক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনার পর রক্তমাখা প্রাইভেট কার ও এতে থাকা এক যাত্রীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম সাইদুর রহমান (৩৫)। তিনি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ভেড়ামারা দক্ষিণ রেলগেট এলাকার বামনপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলের সড়কে একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কারের দরজায় রক্ত দেখতে পান কয়েকজন। পরে তাঁরা সেখানে গিয়ে গাড়ির পাশে সড়কের ওপর এক ব্যক্তির গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তাৎক্ষণিকভাবে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাগজপত্র দেখে জানতে পারে, ওই ব্যক্তি গাড়িটির চালক। এ সময় ওই গাড়িতে থাকা এক ব্যক্তিকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। রক্তমাখা গাড়িটির পাশাপাশি ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা একটি ধারালো ছুরি ও কাগজপত্র জব্দ করেছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী সোহাগ হোসেন নামের একজন বলেন, ‘লাশের গলাকাটা ছিল। নীল রঙের গেঞ্জি পরা লোকটির মাথায় ও মুখে রক্ত ছিল। গাড়ির গায়েও রক্তের দাগ ছিল। ঘটনার পরপরই লালপুর থানার পুলিশ সদস্যরা এসে আশপাশের লোকজনকে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ঘটনাস্থলের পশ্চিমাংশে সুগার মিল স্কুল এবং পূর্ব পাশে বেশ কয়েকটি বাড়ি আছে। সেখান থেকে মাত্র ১০ মিটার দূরেই গোপালপুর রেলগেট। সেখানে প্রায় সারা রাত লোকজন থাকেন। তবে বৃষ্টির কারণে ঘটনার সময় সেখানে লোকজনের তেমন উপস্থিতি ছিল না।’

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুজ্জামান বলে, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, চালক ভেড়ামারা থেকে যাত্রী নিয়ে বনপাড়ায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। গাড়িতে থাকা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ছাড়া পুলিশের একাধিক দল ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে মাঠে আছে।

Lading . . .