Advertisement

মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন ইউএনও

যুগান্তর

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

24obnd

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন স্থানীয় যুবদলের দুই নেতাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) রফিকুল ইসলামকে দিয়ে ইউএনও মামলাটি করিয়েছেন বলে ওই দুই নেতার অভিযোগ।

এ বিষয়ে দুর্গাপুর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য রেজাউল করিম গত রোববার ইউএনও এবং খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

১৮ সেপ্টেম্বর রেজাউল করিম (৩০) এবং সজিব আলী (২৮) নামের আরেকজনকে আসামি করে দুর্গাপুর থানায় একটি মামলা করেন রফিকুল ইসলাম। এতে তাদের বিরুদ্ধে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ করা হয়। মামলাটি মিথ্যা বলে দাবি করেন আসামিরা।

লিখিত অভিযোগে রেজাউল জানান, ইউএনও সাবরিনা শারমিন, খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, গুদামের নৈশপ্রহরী শাজাহান আলম ও বাবুল কুমার সরকারি খাদ্যগুদামের চাল অন্যত্র রেখেছিলেন। বিষয়টি আমি জানতে পেরে ইউএনওর সঙ্গে তার দপ্তরে কথা বলতে যাই।

তখন তিনি আমাকে এসব বিষয়ে মাথা না গলানোর জন্য ভয়ভীতি দেখান এবং চাঁদাবাজির মামলার হুমকি দেন। আমি সরকারি চাল উদ্ধারের জন্য বললেও তিনি পদক্ষেপ নেননি। তিনি আমাকে চাঁদাবাজির মামলার হুমকি দিলে আমি চলে আসি।

অভিযোগে বলা হয়, সরকারিভাবে তদন্ত করে খাদ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ইউএনও ওই খাদ্য কর্মকর্তাকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে দুর্গাপুর থানায় মিথ্যা মামলা করিয়েছেন।

অভিযোগে রেজাউল করিম মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত এবং ইউএনও ও খাদ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও সাবরিনা শারমিন বলেন, কে লিখিত অভিযোগ করেছে আমি জানি না। আর মামলা আমি কেন করাতে যাব? মামলা তো আমি করিনি। মামলা করেছেন খাদ্য কর্মকর্তা। এ বিষয়ে তিনিই বলতে পারবেন। আমি কিছু জানি না।

২৮ আগস্ট সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে একটি ট্রলিতে করে ১৪০ বস্তা চাল নিয়ে গিয়ে গুদামের নৈশপ্রহরী শাহজাহান আলমের বাড়িতে ঢোকানো হচ্ছিল। যুবদলের ওই নেতাকর্মীরা বিষয়টি দেখে ভিডিও করে রাখেন। জানাজানি হওয়ায় দ্রুত ওই চাল আবার সরিয়ে নেওয়া হয়।

পরে উপজেলা ইউএনও সাবরিনা শারমিন তার অফিসের কর্মচারীকে দিয়ে যুবদলের এ নেতাদের ডাকেন। সেখানে ইউএনও তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের পাশাপাশি মামলা করার হুমকি দেন বলে তারা অভিযোগ তোলেন। ফেসবুক লাইভে এসে এসব কথা জানান যুবদল নেতা রেজাউল করিম।

১৭ সেপ্টেম্বর খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে বদলি করা হয়; কিন্তু তিনি নতুন কর্মস্থলে না গিয়ে পরদিন যুবদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।

১৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক যুগান্তরে ‘প্রহরীর বাড়িতে খাদ্যবান্ধবের ১৪০ বস্তা চাল’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন করা হয়। এরপর সংশ্লিষ্ট মহলে শুরু হয় তোলপাড়।

Lading . . .