Advertisement

নাটোরে ক্রীড়া উপদেষ্টার স্টেডিয়াম উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করেছে বিএনপি

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

স্টেডিয়াম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। আজ শনিবারছবি: প্রথম আলো
স্টেডিয়াম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। আজ শনিবারছবি: প্রথম আলো

নাটোর জেলা বিএনপি ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়ার সদর উপজেলা স্টেডিয়াম উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কট করেছে। পুলিশ প্রশাসনের অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে তারা আজ শনিবার সকালে অনুষ্ঠানটি বর্জন করে। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপদেষ্টা শহরের কানাইখালি এলাকায় উপস্থিত হয়ে স্টেডিয়ামটি সরাসরি উদ্বোধন করেন এবং ভার্চুয়ালি দেশের অন্য ১৩টি মিনি স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেন।

জেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসন থেকে চিঠি দিয়ে বিএনপি নেতাদের সদর উপজেলা স্টেডিয়াম উদ্বোধনের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সে মোতাবেক জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্যসচিব আসাদুজ্জামানসহ কয়েকজন নেতা শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে কানাইখালি মিনি স্টেডিয়ামে যান। তাঁরা স্টেডিয়ামের প্রধান ফটক দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক হাসিবুল্লাহ হাসিব বাধা দেন। পরিচয় দিয়ে আমন্ত্রণ স্মরণ করিয়ে দিলেও তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের চিনি, ভেতরে যাওয়া যাবে না।’ এ ঘটনার পর বিএনপি নেতারা অনুষ্ঠান ত্যাগ করেন এবং বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়।

জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা আমন্ত্রিত অতিথি। আমন্ত্রণ পেয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু ডিবির ওসির খারাপ আচরণ সহ্য করার মতো নয়। আমরা চরম অপমানিত হয়েছি। এর প্রতিবাদে স্টেডিয়াম উদ্বোধন ও আলোচনা সভা বয়কট করেছি। এ ছাড়া আমরা স্টেডিয়ামের নাম শহীদ সুজনের নামে করার অনুরোধ করেছিলাম, যা প্রশাসন গ্রহণ করেনি। এর প্রতিবাদও জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে ডিবির ওসিকে বারবার ফোন দেওয়া হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেন, ডিবি উপদেষ্টার নিরাপত্তার সার্বিক দায়িত্বে ছিল। উপদেষ্টার নিরাপত্তার স্বার্থেই ডিবি কর্মকর্তা উনাদেরকে (বিএনপি নেতৃবৃন্দ) একসঙ্গে অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকতে বারণ করেছিলেন। এটা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে অনুষ্ঠানে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধাদের ত্যাগের কারণে আজ আমরা একটা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। অন্তরবর্তী সরকার নতুন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে সমৃদ্ধ করতে স্টেডিয়ামসহ নানা ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করছে। তবে অবকাঠামোর ব্যবহার না বাড়ালে ক্রীড়াঙ্গন সমৃদ্ধ হবে না।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তরুণদের বেকারত্ব দূর করার জন্য যুগোপযোগি প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য তাদেরকে এআইসহ আধুনিক প্রযুক্তিগত শিক্ষা দেওয়ার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আমাদের সীমিত সম্পদ কাজে লাগিয়ে তরুণদের কর্মসংস্থানমুখী করতে হবে। এ জন্য সরকার ইতিমধ্যে উদ্যোক্তা উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।’

Lading . . .