আনিসুল-হাওলাদাররা জাপাকে ভাঙার ষড়যন্ত্র করছেন, অভিযোগ কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজারের
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫
জাতীয় পার্টির (জাপা) কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মুস্তাফিজার রহমান মোস্তফা অভিযোগ করেছেন, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমিন হাওলাদার ও মুজিবুল হক চুন্নু জাতীয় পার্টিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র করছেন। আজ বুধবার বিকেলে রংপুরে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তিনি এ অভিযোগ করেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ অন্য নেতা-কর্মীদের নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদ ও মব ভায়োলেন্স বন্ধের দাবিতে এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। আজ বিকেল চারটার দিকে নগরের সেন্ট্রাল রোডের দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়, যা রংপুর প্রেসক্লাব, পায়রা চত্বর ও সিটি বাজার হয়ে দলীয় কার্যালয়ে ফিরে এসে সমাবেশ করে।
সমাবেশে জাপা কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান ছাড়াও বক্তব্য দেন রংপুর মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আজমল হোসেন, সদস্যসচিব আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ।
মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘যে রুহুল আমিন হাওলাদার শেখ হাসিনার ছবি দিয়ে পোস্টার ছাপিয়ে নির্বাচন করেছে, যে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ শেখ হাসিনার আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে তাঁর ছবি দিয়ে নির্বাচন করেছে, যে চুন্নু এই নির্বাচন করেছে শেখ হাসিনার ছবি লাগিয়ে, তাঁদের দিয়ে জাতীয় পার্টিকে ভাঙার একটি ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি। আজ থেকে ঘোষণা করছি, রংপুর বিভাগে এই দালাল চক্রকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।’
দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে উল্লেখ করে মোস্তফিজার বলেন, ‘আজকে আমরা আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে আছি। মানুষ খুন হচ্ছে। মানুষকে দিনের বেলা কুপিয়ে মারা হচ্ছে। রাতে গাড়িতে লাশ পাওয়া যাচ্ছে। দিনের বেলায় এখানে (রংপুরের তারাগঞ্জ) দলিত সম্প্রদায়ের দুজন ব্যক্তিকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হলো। এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। বুড়িরহাটে (তারাগঞ্জ) ১২ বছর একটি ছেলেকে জবাই করে হত্যা করা হলো। বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবনতি, এই অবনতি যদি থাকে, তাহলে কীভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব?’
জাতীয় পার্টির এই কো–চেয়ারম্যান বলেন, দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের খুন করতে গিয়েছিলেন—এই মিথ্যা মামলা তাঁকে দেওয়া হয়েছে। দেশে মিথ্যা মামলা করে মামলা বাণিজ্য করা হচ্ছে। একটি মামলায় নাম দেওয়া, নাম কেটে দেওয়ায় ৫-১০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এভাবে সারা দেশের প্রায় কোটি লোকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলা পুলিশ তদন্ত করবে কীভাবে, চার্জশিট দেবে কীভাবে, বিচার হবে কীভাবে? এই মিথ্যা মামলা করে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
মিছিল শেষে নগরের সেন্ট্রাল রোডে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমিন হাওলাদার, মুজিবুল হক চুন্নুর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন বিক্ষোভকারীরা।