Advertisement

পঞ্চগড়ে প্রবল স্রোতে ভেঙে গেছে সেতুর সংযোগ সড়ক

প্রথম আলো

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫

পঞ্চগড়ে ভারী বর্ষণ ও প্রবল স্রোতে গত মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার কুচিয়ামোড় স্লুইসগেটের সংযোগ সড়ক ভেঙে পড়ে। গতকাল বুধবার বিকেলেছবি: প্রথম আলো
পঞ্চগড়ে ভারী বর্ষণ ও প্রবল স্রোতে গত মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার কুচিয়ামোড় স্লুইসগেটের সংযোগ সড়ক ভেঙে পড়ে। গতকাল বুধবার বিকেলেছবি: প্রথম আলো

ভারী বর্ষণ ও প্রবল স্রোতে পঞ্চগড়ের একটি স্লুইসগেট–সংলগ্ন সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অন্তত ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

গত মঙ্গলবার রাতে মুষলধারে বৃষ্টির সময় পঞ্চগড় সদর উপজেলার কুচিয়ামোড় স্লুইসগেট–সংলগ্ন সেতুটির দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়। এ সময় দেবে যায় স্লুইসগেটটি। এতে স্লুইসগেটের দুই পাশে থাকা পাঁচটি দোকান পানিতে ভেসে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের কুচিয়ামোড় এলাকায় স্লুইসগেট কাম সেতু নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। কুচিয়ামোড় গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত সেতুটি পার হয়ে পূর্ব পাশের অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ পঞ্চগড় জেলা শহরে আসা–যাওয়া করেন।

স্থানীয় কয়েকজন বলেন, মঙ্গলবার রাত আটটার পর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ভারী বর্ষণের সময় সেতুর পাশে গড়ে ওঠা বাজারের নৈশপ্রহরী মো. আবদুল সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ার শব্দ পান। এ সময় তিনি মুঠোফোনে স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি জানান। এর মধ্যে সেতুর পূর্ব পাশে সংযোগ সড়কে থাকা সাইকেল মেরামতের দোকান ও ফার্নিচারের দোকান এবং পশ্চিম পাশে থাকা মাছের দোকান, চায়ের স্টলসহ আরেকটি দোকান পানির স্রোতে ভেসে যায়।

গতকাল বুধবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর দুই পাশে ভিড় করেছেন শত শত মানুষ। স্থানীয় ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ার সময় পাঁচটি দোকান ভেসে গেছে। এর মধ্যে একটি দোকান তাঁর ছিল।

কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, এখন পঞ্চগড় শহরে যেতে ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে গলেহা এলাকা দিয়ে যেতে হবে। তিনি দ্রুত এটি মেরামতের দাবি জানান।

এলজিইডি পঞ্চগড়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহমুদ জামান বলেন, ‘এই স্লুইসগেট কাম সেতুটির সংযোগ সড়ক থেকে খালের গভীরতা অনেক বেশি। খাড়া অবস্থায় থাকা সংযোগ সড়কটিতে মাটি আটকে থাকছিল না। এ জন্য সংস্কারের পরিকল্পনা ছিল। এরই মধ্যে অতিরিক্ত পানির চাপে এমন অবস্থা হওয়ায় সেতুটি দেবে গেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বলেন, পানির স্রোত কমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটির পাশে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে মানুষ চলাচলের জন্য এলজিইডির সহায়তায় অস্থায়ী সাঁকো তৈরি করা হবে।

Lading . . .