Advertisement

সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় জামিন পেলেন কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মোছা. সুলতানা পারভীন।
মোছা. সুলতানা পারভীন।

সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় কারাগারে থাকা কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীন ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন।

জামিন চেয়ে তাঁর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ সুমনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রুলসহ এ জামিন দেন।

এতে সুলতানা পারভীনের আপাতত কারামুক্তিতে আইনি কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ।

এর আগে ওই মামলায় ২ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে সুলতানা পারভীন জামিনের আবেদন করেন। সেদিন বিচারক মোছাম্মৎ ইসমত আরা বেগম জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তিনি। এ আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আজ আদালত রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।

আদালতে জামিন আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও মো. রুহুল কুদ্দুস এবং আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ। বাদীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু ও ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।

পরে আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই মামলায় আবেদনকারীকে (সুলতানা পারভীন) কেন নিয়মিত জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। চার সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে রুলের জবাব দিতে হবে।’

২০২০ সালের ১৩ মার্চ রাতে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের বাসায় অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রশাসনের একটি পুকুরের নামকরণ ও বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে তাঁকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে নির্যাতন, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যার হুমকি ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। পরে আরিফুলের বিরুদ্ধে আধা বোতল মদ ও ১৫০ গ্রাম গাঁজা রাখার অভিযোগে তাৎক্ষণিক এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ছাড়াও তৎকালীন আরডিসি নাজিম উদ্দিন, এনডিসি রাহাতুল ইসলাম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।

ওই ঘটনার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে প্রশাসন। পরে আরিফুল ইসলামকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তি পাওয়ার পর সাংবাদিক আরিফুল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন। পাঁচ বছর ধরে মামলাটি চলছে।

Lading . . .