তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচে
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫

নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি কমেছে। আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় লালমনিরহাটের দোয়ানীতে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টায় ওই পয়েন্টে পানির স্তর ছিল ৫২ দশমিক ১৩ মিটার। গত বুধবার তা বেড়ে হয় ৫২ দশমিক ২২ মিটার ও গতকাল বৃহস্পতিবার ৫২ দশমিক ৩৩ মিটার। সেখানে পানির বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার।
নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা তীরের ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খালিশাচাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রাম ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়। পানিবন্দী হয়ে পড়ে প্রায় ১০ হাজার পরিবার। ডুবে যায় বিস্তীর্ণ এলাকার রোপা আমন চারা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। আজও পানি কমার প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, পানি কমতে শুরু করায় যেসব বাড়িঘরে পানি উঠেছিল, সেখান থেকে নামতে শুরু করেছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ছয়টায় দোয়ানীতে তিস্তার পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ৫১ দশমিক ৯৫ মিটার দিয়ে, আর সকাল ৯টায় ছিল ৫১ দশমিক ৯২ মিটার।
পাউবোর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, তিস্তার পানি কমে গেছে, আরও কমবে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক আছে।