Advertisement

খেলতে যাওয়া শিশুর লাশ মিলল ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত টয়লেটে

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৬ আগস্ট, ২০২৫

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বিকেলে বাড়ি থেকে খেলতে বের হয়েছিল শিশু আল হাবিব (৬)। এর পর থেকেই আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তার। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাতে শিশুটির লাশ পাওয়া গেছে বাড়ির পাশে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের একটি পরিত্যক্ত টয়লেটে।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের শিলাইকুঠি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় তেঁতুলিয়া মডেল থানার পুলিশ।

নিহত শিশু আল হাবিব শিলাইকুঠি এলাকার আশরাফুল ইসলাম ও হ্যাপি আক্তার দম্পতির একমাত্র সন্তান। শিশুটিকে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর পরিত্যক্ত টয়লেটে ফেলে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

নিহত শিশুর পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক হোসেন বলেন, গতকাল বিকেলে প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে খেলতে বাড়ি থেকে বের হয় শিশু হাবিব। এরপর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেও সে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাত আটটার পর বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের একটি টয়লেটে (দরজা ছাড়া) জমিয়ে রাখা ইটপাথরের ওপর শিশুটিকে মৃত অবস্থায় পান স্বজনেরা। এ সময় শিশুটির পরনের শার্ট পেঁচিয়ে গলায় বাঁধা ছিল। পরে স্থানীয় লোকজন তেঁতুলিয়া মডেল থানার পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে দিবাগত রাত ১২টার দিকে থানায় নিয়ে যায়।

ইউপি চেয়ারম্যান তারেক হোসেন আরও বলেন, শিশুটির বাবা আশরাফুল ইসলাম একসময় বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন। প্রায় দুই বছর আগে কাজ করার সময় বিদ্যুতের খুঁটি থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি। তখন থেকে পা ভেঙে প্রায় অচল হয়ে বাড়িতে পড়ে আছেন আশরাফুল। এ কারণে পরিবারটি খুবই অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছে।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া আজ বুধবার সকালে বলেন, শিশুটির লাশ উদ্ধারের সময় তার গলা একটি শার্ট দিয়ে প্যাঁচানো ছিল। এ ছাড়া মাথার পেছন দিকে একটি আঘাতের চিহ্ন আছে। ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে। রাতেই লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

Lading . . .