তারাগঞ্জে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজন তিন দিন করে রিমান্ডে
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫

রংপুরের তারাগঞ্জে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কৃষ্ণ কমল রায় এ আদেশ দেন।
রংপুর আদালত পুলিশের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বালাপুর এলাকার এবাদত হোসেন (২৭), বুড়িরহাট এলাকার আক্তারুল ইসলাম (৪৫), রফিকুল ইসলাম (৩৩) ও রহিমাপুরের মিজানুর রহমান (২২)।
গত শনিবার রাত ৯টার দিকে তারাগঞ্জের সয়ার ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় পিটুনিতে নিহত হন রূপলাল (৪০) ও প্রদীপ লাল (৩৫)। রূপলালের বাড়ি তারাগঞ্জের ঘনিরামপুর গ্রামে। তাঁর ভাগনির স্বামী প্রদীপের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়াভাটা গ্রামে। রূপলাল জুতা সেলাইয়ের কাজ করতেন। ছোট্ট টিনের ঘরে মা, স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে থাকতেন তিনি। প্রদীপ ছিলেন ভ্যানচালক। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে তারাগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন নিহত রূপলালের স্ত্রী ভারতী রানী।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মিঠাপুকুর উপজেলার ছরান বালুয়া এলাকা থেকে ভাগনির স্বামী প্রদীপ লালকে নিয়ে ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিলেন রূপলাল দাস। পথে সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বটতলা মোড়ে তাঁদের পথরোধ করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি। একপর্যায়ে তাঁরা প্রদীপের কাছে থাকা কালো ব্যাগ তল্লাশি করে একটি পানীয়র বোতল ও ওষুধ পান। বোতলের ঢাকনা খোলার পর দুর্গন্ধে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে তাঁরা উত্তেজিত হয়ে রূপলাল ও প্রদীপ লালকে বুড়িরহাট উচ্চবিদ্যালয়ে মাঠে নিয়ে মারধর করেন। সেখানে তাঁদের পিটুনি দেওয়া হয়।
একপর্যায়ে পিটুনির শিকার দুজনকে তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে রূপলালকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রদীপের মৃত্যু হয়।