বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপরে তিস্তার পানি
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫
-689dd5351ca12.jpg)
টানা কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও ভারতের গজলডোবা থেকে পানি ছাড়ার ফলে বাংলাদেশ অংশে তিস্তা নদীর পানি আরও ফুলে উঠেছে।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ৩টায় বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে দুপুর ১২টায় ১৮ সেন্টিমটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৬টায় উত্তরাঞ্চলের নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার (৫২.১৫) ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
বুধবার সকালে বিপৎসীমা অতিক্রম করে পানি ৭ সেন্টিমিটার উপরে উঠেছিল, পরে তা নেমে আসে ৪ সেন্টিমিটারে। তবে রাতের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বৃহস্পতিবার তা বেড়ে ১৮ সেন্টিমিটার উপরে পৌঁছায়। পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারেজের নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে ৪৪টি স্লুইচগেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এলাকাগুলো প্লাবিত হচ্ছে।
এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি, ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
সূত্রমতে, ভারতের গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে প্রায় ৪ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হয়। পানি ছাড়া অব্যাহত থাকলে তিস্তার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়ে ভয়াবহ অবস্থা হতে পারে।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, তিস্তা অববাহিকার সবচেয়ে বড় চর গ্রাম ঝাড়সিংশ্বর। চর এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ভয়াবহ হচ্ছে। এলাকার দেড় হাজার পরিবার বন্যাকবলিত বলে জানান তিনি।
টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন জানান, তিস্তার পানি বেড়েছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন