Advertisement

চাপে পড়ে নয়, অনুরোধে ভারতে ইলিশ পাঠানোর অনুমোদন: ফরিদা আখতার

প্রথম আলো

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আজ সোমবার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতারছবি: প্রথম আলো
আজ সোমবার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতারছবি: প্রথম আলো

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, কোনো চাপে পড়ে নয়; বরং ধর্মীয় সৌজন্যবোধ ও অনুরোধের কারণে ভারতে ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ পাঠানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি গত বছরের তুলনায় অর্ধেকের কম। এ ছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ১১ হাজার টন ইলিশ পাঠানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন উপদেষ্টা। এর আগে জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, নারী কৃষক এবং স্থানীয় এনজিও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সভায় অংশ নেন তিনি।

গত বছরের তুলনায় এবার ইলিশ রপ্তানি কমেছে জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, ‘গত বছর আমরা ভারতে ইলিশ রপ্তানি করেছি তিন হাজার টন। আর এ বছর রপ্তানির জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ২০০ টন। তাই কোনো চাপের ফলে ইলিশ পাঠানোর কিছু নেই; বরং আমরা ধর্মীয় সম্প্রীতির জায়গা থেকে ইলিশ পাঠাচ্ছি।’

দুর্গাপূজায় ভারতে যাচ্ছে ১২০০ টন ইলিশ, রপ্তানির অনুমতি দিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

বাজারে ইলিশের কম সরবরাহের বিষয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, চলতি বছর জাটকা নিধনের ফলে ইলিশের উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমেছে। গত মৌসুমের তুলনায় চলতি বছরের জুলাই মাসে ৩৭ শতাংশ ও আগস্ট মাসে ৪৭ শতাংশ কম ইলিশ ধরা পড়েছে। এর কারণে বাজারে ইলিশের দাম বেশি। তবে এ মাসেই দেশের কিছু জায়গায় সাশ্রয়ী মূল্যে ইলিশ বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফরিদা আখতার বলেন, কৃষিতে যেমন প্রণোদনা আছে, মৎস্য খাতে তেমন প্রণোদনা নেই বললেই চলে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার জনকল্যাণের জন্য নানামুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। গবাদিপশুকে এলএসডি (লাম্পি স্কিন ডিজিজ) মুক্ত করতে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জসহ চার জেলাকে সম্পূর্ণভাবে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।

আলোচনা সভায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, সিভিল সার্জন স্বপন কুমার বিশ্বাস, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোক্তাদির খান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ রানাসহ প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

Lading . . .