আল কারাওইন লাইব্রেরি, মুসলিম বিশ্বের প্রাচীনতম গ্রন্থাগার
প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

মওলবি আশরাফ
ভাবুন তো একবার, আপনি অবসরে পড়বার জন্য একটি লাইব্রেরিতে ঢুকলেন, আর বুকশেলফে হাত রাখতেই বের হয়ে এলো এক হাজার বছরেরও পুরনো হাতে লেখা কোরআন শরিফ কিংবা নবীজীবনী! লাইব্রেরিয়ান আপনাকে নিষেধ করছেন না আর কোথাও ‘সংরক্ষিত’ ট্যাগও নেই! আপনার সামনে দুষ্প্রাপ্য প্রায় চার হাজার পাণ্ডুলিপি, এর মধ্যে দুই হাজারের বেশি আরবি পাণ্ডুলিপি পৃথিবীর আর কোথাও নেই। আপনি নির্বিঘ্নে নবম শতক থেকে ত্রয়োদশ শতকের দুনিয়ায় ঘুরে বেড়াতে পারছেন। এমনই অভিজ্ঞতা হবে মরক্কোর ফেজ শহরের আল কারাওইন বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে, ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ আল ফিহরিয়া নামক এক নারীর হাত ধরে। তিনি ছিলেন ইফ্রিকিয়াজয়ী বিখ্যাত মুসলিম সেনাপতি উকবা বিন নাফে’র বংশধর। বর্তমান তিউনিসিয়ায় জন্ম নেওয়া এই বিদুষী নারী পৈতৃকসূত্রে বিপুল সম্পদের অধিকারী হয়েছিলেন। পরবর্তীতে যখন মরক্কোর ফেজ শহরে হিজরত করেন, সেখানে তিনি ‘সদকায়ে জারিয়ার’ নিয়তে একটি মসজিদ ও মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন, ৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দে যা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের অনুসন্ধান অনুযায়ী এটিই পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়।