Advertisement
  • হোম
  • ধর্ম
  • ইহরামের কাপড় কাফন হিসেবে ব্যবহারের ফজিলত আছে কি?

ইহরামের কাপড় কাফন হিসেবে ব্যবহারের ফজিলত আছে কি?

জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

ইহরামের কাপড় কাফন হিসেবে ব্যবহারের ফজিলত আছে কি?
ইহরামের কাপড় কাফন হিসেবে ব্যবহারের ফজিলত আছে কি?

কেউ যদি নিজের হজ বা ওমরাহর ইহরামের কাপড় কাফন হিসেবে ব্যবহার করতে চায়, করতে পারে। এ ব্যাপারে কোনো বিধি-নিষেধ নেই। তবে ইহরামের কাপড় কাফন হিসেবে ব্যবহারের বিশেষ কোনো ফজিলত নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া যায় না। তাই এর বিশেষ কোনো ফজিলত আছে বলে বিশ্বাস করা যাবে না।

ইহরামের যে কাপড়টি কাফন হিসেবে ব্যবহার করার নিয়ত করা হবে, তা যেন মধ্যম মানের হয় সেদিকে লক্ষ রাখা উচিত। হাদিসে উত্তম কাফনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আবার কাফন নিয়ে বাড়াবাড়ি করতেও নিষেধ করা হয়েছে।

কোনো মুসলমানের মৃত্যু হলে তাকে গোসল করানো, কাফন পরানো ও জানাজার নামাজ পড়ে তাকে কবরস্থ করা মুসলমানদের ওপর ফরজে কেফায়া। মৃতের ওয়ারিস, অভিভাবক ও তার আত্মীয়-স্বজন থাকলে কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব প্রথমত তাদের ওপর বর্তায়। যদি মৃতের কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করার কেউ না থাকে, তাহলে তার কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করা মুসলমানদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। কেউ এই দায়িত্ব পালন না করলে সবাই গুনাহগার হবে।

মৃতের যদি সম্পদ থাকে তাহলে তার সম্পদ থেকেই তার কাফন ও দাফনের ব্যবস্থা করতে হবে। যদি কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করার মতো সম্পদ মৃতের না থাকে, তবে তাকে কাফন দেওয়ার দায়িত্ব তাদের ওপর বর্তাবে জীবিত অবস্থায় তার দেখাশোনার দায়িত্ব যাদের ওপর ছিল। আত্মীয় স্বজনের মধ্যে কেউ ব্যবস্থা করতে না পারলে তার কাফনের ব্যবস্থা করা মুসলমানদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কর্তব্য যেমন ওপরে উল্লেখ করা হয়েছে।

পুরুষ মৃতকে কাফন পরাতে হলে প্রথমেই কাফনের চাদর চৌকি বা খাটিয়ার ওপরে বিছাবেন। তারপর চাদরের উপর ইজার (তাহবন্দ) বিছাবেন। কাপড়গুলোর মধ্যে সুগন্ধি লাগাবেন। মৃত ব্যক্তিকে জামা পরিয়ে ইজারের উপর শোয়াবেন। তিনবার চন্দন কাঠের ধোঁয়া বা সুগন্ধি দেবেন। তারপর তুলার মধ্যে সুগন্ধি লাগিয়ে দুই নিতম্বের মাঝে রেখে দেবেন যাতে মৃত ব্যক্তির সমস্ত শরীরে সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়ে। তারপর এমনভাবে ইজার বা নিম্নাঙ্গের কাপড় জড়াবেন যেন মৃতের ডান পাশ বাম পাশের ওপর থাকে। চাদরও এভাবেই পরাবেন।

মৃত নারীকে কাফন পরানোর সময় প্রথম প্রথমে চাদর বিছাবেন, সিনা বরাবর সিনাবন্দ বিছাবেন, তারপর ইজার বিছাবেন। তারপর জামা পরিয়ে মৃতের চুল দুই ভাগ করে ডানে ও বামে জামার উপর অর্থাৎ বুকের উপর রেখে দেবেন। মাথাবন্ধ দিয়ে মাথা পেচিয়ে মুখের উপর রাখবেন। তারপর মৃত ব্যক্তিকে ইজারের উপর শোয়াবেন। ইজার এমনভাবে জড়াবেন যেন ডান পাশ বাম পাশের ওপর পড়ে। অনুরূপভাবে সিনাবন্ধ এবং সর্বশেষ চাদর জড়াবেন। নারীদের বেলায়ও পুরুষদের সুগন্ধি ব্যবহার করবেন।

Lading . . .