প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

পৃথিবীতে মুসলিম ব্যক্তিরা একে-অপরকে সালামের মাধ্যমে অভিবাদন জানিয়ে থাকে। সাক্ষাতের শুরুতে সালামের মাধ্যমেই তারা একে অপরকে সম্মান জানিয়ে থাকেন। পৃথিবীর জীবন শেষে জান্নাতে যাওয়ার পরও জান্নাতবাসীরা একে-অপরকে সালামের মাধ্যমে অভিবাদন জানাবেন।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের এমন জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, যার নিচে নির্ঝরিণী প্রবাহিত হবে। তাদের প্রতিপালকের নির্দেশে তারা সেখানে অনন্তকাল থাকবে। সেখানে তাদের অভিবাদন হবে সালাম। (সুরা ইবরাহিম, আয়াত : ২৩)
এই আয়াতে বিশ্বাসী মানুষদের প্রতিদান সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, কিয়ামতের দিন পাপাচারীদের জাহান্নামে নিয়ে যাওয়া হবে, অন্যদিকে তাদের সামনেই জান্নাতবাসীদের অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে জান্নাতি উদ্যানে প্রবেশ করানো হবে। সে জান্নাত বাগানসদৃশ। তবে তা দুনিয়ার কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনীয় নয়।
আরও পড়ুন
জান্নাত সম্পর্কে এ আয়াত থেকে শুধু এতটুকু জানা যায় যে জান্নাতের তলদেশে ঝরনা ও নদী প্রবাহিত হতে থাকবে। জান্নাতবাসীরা আল্লাহর ইচ্ছায় সেখানে অনন্তকাল বসবাস করবেন। সেখানে তারা পরস্পর সালাম বিনিময় করবেন।
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, সেখানে তাদের কথা হবে, ‘হে আল্লাহ, তুমি পবিত্র মহান’ এবং তাদের অভিবাদন হবে, ‘সালাম’। আর তাদের শেষ কথা হবে যে, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি সকল সৃষ্টির রব’। (সুরা ইউনুস, আয়াত : ১০)
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেছেন, যেদিন তারা আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে, সেদিন তাদের অভিবাদন হবে সালাম। আর তিনি তাদের জন্য প্ৰস্তুত রেখেছেন সম্মানজনক প্রতিদান। (সুরা আহযাব, আয়াত : ৪৪)