প্রকাশ: ১০ আগস্ট, ২০২৫

কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিলকৃত গ্রন্থ। সৃষ্টির উপর স্রষ্টার মর্যাদা যেমন, পৃথিবীর সব কথা, বক্তব্য ও গ্রন্থের ওপর কোরআনের মর্যাদাও তেমন। আল্লাহ তাআলা কোরআন সম্পর্কে বলেছেন, নিশ্চয় এটি মহিমান্বিত কোরআন, যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে, পূত-পবিত্র (ফেরেশতা) ছাড়া (শয়তানেরা) তা স্পর্শ করতে পারে না, তা সৃষ্টিকুলের রবের কাছ থেকে নাজিলকৃত। (সুরা ওয়াকিয়া: ৭৭-৮০)
পৃথিবীতে কোরআন যাদের সঙ্গী হবে, যারা কোরআন তেলাওয়াত করবে, কোরআনের বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করবে, কেয়ামতের কঠিন দিনে কোরআন তাদের তাদের পক্ষে সাক্ষ্য দেবে, সুপারিশ করবে, তাদের জন্য ছায়া হবে।
আবু উমামা বাহেলি (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আপনারা কোরআন পড়ুন। কোরআন পাঠ কেয়ামতের দিন তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশকারী হয়ে আসবে। আপনারা দুই উজ্জ্বল সুরা বাকারা ও আলে ইমরান পড়বেন। কেয়ামতের দিন এ সুরা দুটি মেঘখণ্ড অথবা দুটি সামিয়ানা অথবা দু’টি পক্ষ প্রসারিত পাখির ঝাঁকরূপে আসবে এবং তাদের পাঠকদের জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে। বিশেষ করে তোমরা সুরা বাকারা পড়বেন। সুরা বাকারা পড়া বরকত আর তা না পড়া আক্ষেপ। এ সুরা অলস ও নির্বোধরা পড়তে পারবে না। (সহিহ মুসলিম: ৮০৪)
