Advertisement
  • হোম
  • ধর্ম
  • টাকা দিয়ে ‘মিথ্যা ব্যাংক স্টেটমেন্ট’ বানানো কি জায়...

টাকা দিয়ে ‘মিথ্যা ব্যাংক স্টেটমেন্ট’ বানানো কি জায়েজ?

জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ১০ আগস্ট, ২০২৫

টাকা দিয়ে ‘মিথ্যা ব্যাংক স্টেটমেন্ট’ বানানো কি জায়েজ?
টাকা দিয়ে ‘মিথ্যা ব্যাংক স্টেটমেন্ট’ বানানো কি জায়েজ?

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে অনেক সময় নির্দিষ্ট অংকের টাকা ব্যাংকে আছে এ রকম স্টেটমেন্ট দেখাতে হয়। অনেক ব্যাংকে টাকার বিনিময়ে ব্যাংক স্টেটমেন্ট বানানোর সুযোগ থাকে। যাদের কাছে ওই অংকের নগদ টাকা নেই তারা ব্যাংককে ওই অংকের টাকার পাঁচ/ আট/ দশ পার্সেন্ট টাকা দিলে ব্যাংক ওই অংকের টাকার স্টেটমেন্ট দেয়। অনেকে প্রশ্ন করেন এভাবে টাকা দিয়ে ব্যাংক স্টেটমেন্ট বানানো জায়েজ হবে কি না?

এ প্রশ্নের উত্তর হলো, উল্লিখিত পদ্ধতিতে ব্যাংকগুলো মূলত ঋণ হিসেবে স্টেটমেন্টপ্রার্থীর অ্যাকাউন্টে টাকা রাখে আর তার বিপরীতে পাঁচ/ আট বা দশ শতাংশ হারে সুদ নেয়। তাই এটাকে ঠিক মিথ্যা ব্যাংক স্টেটমেন্ট বলা যায় না। কিন্তু ইসলামে যেহেতু সুদ নেওয়া ও দেওয়া নিষিদ্ধ, সুদ দেওয়ার শর্তে ঋণ নেওয়া নিষিদ্ধ, তাই এই পদ্ধতিতে ব্যাংক স্টেটমেন্ট বানানোও নিষিদ্ধ যেহেতু এজন্য সুদে ঋণ গ্রহণ করতে হয় এবং সুদ দিতে হয়।

উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে যাওয়া বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে ব্যাংক স্টেটমেন্টের প্রয়োজন হলে জায়েজ পদ্ধতি হলো নিজের অর্থ ব্যাংকে রেখে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখানো অথবা কারো কাছ থেকে সুদমুক্ত ঋণ নিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে রেখে ব্যাংক স্টেটমেন্ট তৈরি করা।

ইসলামে ঋণের বিনিময়ে সুদ গ্রহণ করা জুলুম ও গুরুতর পাপ। আল্লাহ তাআলা কোরআনে সুস্পষ্টভাবে সুদকে হারাম ঘোষণা করেছেন। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, আল্লাহ ব্যবসা হালাল করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। (সুরা বাকারা: ২৭৫) আরেক জায়গায় তাআলা বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্ তাআলাকে ভয় করো এবং সুদের যা অবশিষ্ট রয়েছে তা বর্জন করো যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো। আর যদি তোমরা তা না করো তাহলে আল্লাহ তাআলা ও তার রাসুলের সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাও। (সুরা বাকারা: ২৭৮, ২৭৯)

আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সুদের সাথে সম্পৃক্ত চার প্রকারের লোককে সমানভাবে দোষী সাব্যস্ত করেন। জাবির ও আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত তারা বলেন, রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) লানত করেন সুদের সাথে সংশ্লিষ্ট চার ব্যক্তিকে। তারা হচ্ছে, সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক ও সুদের সাক্ষীদ্বয়। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, তারা সবাই সমপর্যায়ের দোষী। (সহিহ মুসলিম: ১৫৯৮)

সুতরাং মুসলমানদের জন্য সুদের লেনদেনে জড়িত থাকা হারাম। সুদের টাকা ভোগ করা অর্থাৎ নিজের খাওয়া-পরাসহ যে কোনো কাজে ব্যবহার করা হারাম। সুদের অর্থ কোনোভাবে হাতে এসে গেলে তা সুদাদাতাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। তা সম্ভব না হলে ওই টাকা সওয়াবের নিয়ত না করে জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে দিতে হবে।

Lading . . .