Advertisement

খাবারে বরকত লাভের উপায়

জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

খাবারে বরকত লাভের উপায়
খাবারে বরকত লাভের উপায়

খাবারে বরকত লাভ করার জন্য খাবার সামনে এলে আল্লাহর কাছে খাবারে বরকতের জন্য দোয়া করুন। খাবার সামনে এলে খাবারে বরকত প্রার্থনা করে এ দোয়াটি পাঠ করা সুন্নত: ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফীমা রাযাকতানা ওয়াকিনা আযাবান-নার’ অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমাদের যে রিজিক দান করেছেন, তাতে বরকত দিন এবং জাহান্নামের আজাব থেকে আমাদের রক্ষা করুন। (কিতাবুল আজকার: ৬৫০)

খাওয়া শুরু করার সময় পড়ুন ‘বিসমিল্লাহি ওয়া আলা বারাকাতিল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহর নামে অর্থাৎ আল্লাহর নামে এবং আল্লাহর বরকতের ওপর খাওয়া শুরু করছি।

রাসুল (সা.) বলেছেন, যে খাবারে বিসমিল্লাহ পড়া হয় না, সে খাবারে শয়তানের অংশ থাকে। সেই খাবার মানুষের সঙ্গে শয়তানও খায়। (সহিহ মুসলিম: ৫৩৭৬) তাই ‘বিসমিল্লাহ’ যেন কোনোভাবেই ছুটে না যায় সেদিকে বিশেষ মনোযোগ থাকা দরকার। খাওয়া শুরু করার সময় বিসমিল্লাহ পড়তে ভুলে গিয়ে খাওয়ার মাঝখানে মনে হলে বলুন, ‘বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু’ অর্থাৎ ‘এর শুরু ও শেষ আল্লাহর নামে।’

খাবার খেতে বসুন পরিবার, সহকর্মী, সহপাঠী বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে, একা নয়। অনেকের সাথে বসে খেলে খাবারে বরকত নাজিল হয়। হজরত ওয়াহশি ইবনে হারব (রা.) থেকে বর্ণিত নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কয়েকজন সাহাবি জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, আমরা খাবার খাই কিন্তু তাতে তৃপ্তি হয় না। তখন রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞাসা করলেন, আপনারা সম্ভবত একা খাবার খান? তারা বললেন, জী। তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আপনারা একসাথে বসে খাবার খাবেন এবং আল্লাহর নাম নিয়ে খাবার খাবেন, তাহলে আপনাদের খাবারে বরকত দান করা হবে। (সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৬৪, সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩২৮৬)

খাবার ফেলে নষ্ট করবেন না। খাবার পড়ে গেলে তা উঠিয়ে খান। খাওয়ার পর আঙ্গুলগুলো ও খাবারের পাত্র চেটেপুটে পরিস্কার করে খান। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) খাওয়ার পর আঙ্গুলগুলো ও বাসন চেটেপুটে খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং বলেছেন, খাবারের কোন অংশে বরকত আছে তা আপনারা জানেন না। (সহিহ মুসলিম: ২০৩৩)

আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, কারো হাত থেকে খাবার পড়ে গেলে সে যেন তা তুলে নেয় এবং তাতে ময়লা থাকলে তা পরিষ্কার করে খেয়ে ফেলে। শয়তানের জন্য ছেড়ে না দেয়। আর আঙ্গুল না চেটে যেন রুমালে হাত না মোছে। কারণ সে জানে না তার খাবারের কোন অংশে বরকত আছে। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩২৭০)

খাওয়া শেষ হলে পড়ুন: ‘আলহামদুলিল্লাহিল্লাযী আতআমানা ওয়া সাকানা ওয়া জাআলানা মিনাল মুসলিমীন।’ অর্থাৎ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমাদের খাওয়ালেন, পান করালেন এবং মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

দস্তরখান ওঠানোর সময় পড়ুন: ‘আলহামদু লিল্লাহি হামদান কাসীরান তায়্যিবান মুবারাকান ফীহি গায়রা মাকফিয়্যিন ওয়া লা মুওয়াদ্দায়িন ওয়া লা মুসতাগনান আনহু রাব্বানা।’ অর্থাৎ আল্লাহর জন্য সমস্ত প্রশংসা এমন প্রশংসা যা অশেষ, পবিত্র ও বরকতময়। হে আমার রব! এই খাবারকে অপ্রচুর মনে করে বা চিরদিনের জন্য বিদায় দিয়ে বা এর প্রতি বিমুখ হয়ে উঠলাম না।

Lading . . .