Advertisement

বিশ্বমঞ্চে চীনা সুর, সবাইকে পেছনে ফেলা কে এই চেন চুশেং?

যুগান্তর

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫

চীনা সঙ্গীতশিল্পী চেন চুশেং।ছবি: সংগৃহীত
চীনা সঙ্গীতশিল্পী চেন চুশেং।ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় চীনা সঙ্গীত প্রতিযোগিতা ‘সিঙ্গার ২০২৫’-এর সরাসরি সম্প্রচারিত ফাইনালে গায়করা মুখোমুখি হন এক জমজমাট লড়াইয়ে। শনিবারের (৯ আগস্ট) এই ফাইনালে চীনের ইতিহাসে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ফাইনালিস্টরা সংখ্যায় চীনা প্রতিদ্বন্দ্বীদের ছাড়িয়ে যান।

তবে শেষমেশ এতে শীর্ষস্থান অর্জন করেন চীনের মূল ভূখণ্ডেরই সঙ্গীতশিল্পী চেন চুশেং। এতে তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা ছিলেন চীনা মূলভূখণ্ডের শান ইয়িচুন, তাইওয়ানের এ-লিন, যুক্তরাষ্ট্রের মিকি গাইটন ও গ্রেস কিন্স্টলার, মালয়েশিয়ার জেস লি এবং জাপানের বেনি।

হুনান টিভি ও ম্যানগো টিভির যৌথ আয়োজনে হওয়া এই অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠিত গায়ক-গায়িকারা প্রতি সপ্তাহে সরাসরি সম্প্রচারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দর্শক এবং অনলাইন ভোটের ভিত্তিতে ফলাফল নির্ধারণ হয়; সবচেয়ে কম ভোট পাওয়া শিল্পীরা বাদ পড়েন, আর নতুন চ্যালেঞ্জারদের প্রবেশের সুযোগ হয়।

আন্তর্জাতিক শিল্পীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে চীনে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য এই শো বিশেষভাবে পরিচিত। ব্রিটিশ পপ তারকা জেসি জে ২০১৮ মৌসুমে শীর্ষস্থান অর্জন করে এই শোর অন্যতম সফল বিদেশি প্রতিযোগী হয়ে ওঠেন।

এবারের মৌসুমে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক লাইনআপ ছিল, যেখানে ফাইনালিস্টদের পাশাপাশি অতিথি শিল্পী হিসেবে ছিলেন কানাডিয়ান গায়ক মাইকেল বুবলে, ব্রাজিলের আলেক্সিয়া এভেলিন এবং মার্কিন গায়ক চার্লি পুথ ও জর্ডান স্মিথ।

চীনা দর্শকদের প্রশংসা করে মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী গ্রেস কিন্স্টলার বলেন, ‘আমি মুগ্ধ হয়েছি, যেভাবে তারা খোলাখুলি শিল্পীদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে, তা দেখে’।

এ বছরের শুরুর দিকে শাওহংশু অ্যাপে যোগ দেওয়ার পর তাকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

কিন্স্টলার বলেন, ‘এই শো আমাকে প্রেরণা জোগায়, আমাকে এগিয়ে যেতে উত্সাহিত করে। আমি এই অভিজ্ঞতার বিনিময়ে কিছুই চাইব না’।

এদিকে ফাইনালে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করা মার্কিন প্রতিযোগী মিকি গাইটন এই অভিজ্ঞতাকে ‘জীবন পরিবর্তনকারী’ বলে অভিহিত করেন। তিনি পরিবারসহ প্রথমবার চীন ভ্রমণে এসে স্থানীয় খাবার, ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও সংস্কৃতির স্বাদ উপভোগ করেন।

তার ভাষায়, ‘চীনা দর্শক অসাধারণ তারা খুব খোলা মনের, আবেগপ্রবণ, সহনশীল ও উত্সাহদায়ী। আমি অবশ্যই ভবিষ্যতে আবার আসব এবং তাদের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখব’।

‘সিঙ্গার ২০২৫’ ১৬ মে থেকে সম্প্রচার শুরু হয় এবং ফাইনালের আগে ১২টি পর্ব প্রচারিত হয়। চূড়ান্ত পর্বে দুটি ধাপ ছিল যুগল পরিবেশনার র‌্যাংকিং এবং একক পরিবেশনার র‌্যাংকিং, প্রতিটি ধাপে ৫০% করে চূড়ান্ত স্কোরে যোগ হয়।

প্রায় চার মাসের এই সঙ্গীতযাত্রায় আন্তর্জাতিক শিল্পীরা চীনা ঐতিহ্যবাহী সুরের সঙ্গে নিজেদের সৃজনশীল ধারা মিশিয়েছেন; আবার চীনা শিল্পীরা তাদের গানে সাংস্কৃতিক উপাদান শেয়ার করেছেন। শো-এর বাইরে, বিদেশি শিল্পীরা চীনের ঐতিহ্য, নান্দনিকতা ও আতিথেয়তার উষ্ণতা উপভোগ করেছেন। সূত্র: সিনহুয়া

Lading . . .