Advertisement

একুশে পদক পাওয়া পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী আর নেই

যুগান্তর

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অন্যতম পুরোধা একুশে পদকপ্রাপ্ত পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী আর নেই।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজশাহী মহানগরীর রাণীবাজার এলাকার নিজ বাসভবন ‘মোহিনী গার্ডেন’-এ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।

অমরেশ রায় চৌধুরী বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় রাজশাহীর পঞ্চবটি শ্মশানে তার দাহ কার্য সম্পন্ন হয় বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

১৯২৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর জেলার চৌদ্দরশি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন অমরেশ রায় চৌধুরী। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াকালীন তার মা রাজলক্ষ্মী রায় চৌধুরীর আগ্রহে উপমহাদেশের প্রখ্যাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী ও সুরকার ফরিদপুরের সুধীর লাল চক্রবর্তীর কাছে তার প্রথম হাতে-খড়ি হয়। গুরু সুধীর লালের মৃত্যুর পর তিনি সিরাজগঞ্জের উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতবিদ হরিহর শুক্লার কাছে কয়েক বছর তালিম নেন।

পরবর্তীতে ফরিদপুরের কোটালীপাড়ার সঙ্গীতাচার্য তারাপদ চক্রবর্তীর কাছে ধ্রুপদ, খেয়াল ও ঠুমরীতে দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ নেন। ময়মনসিংহের নেত্রকোনার বিশিষ্ট শিল্পী ও সুরকার নিখিলচন্দ্র সেনের কাছে আধুনিক গান, অতুলপ্রসাদ, রাগপ্রধান, নজরুল সঙ্গীত ও শ্যামা সঙ্গীত শেখেন। পরবর্তীতে সঙ্গীতাচার্য তারাপদ চক্রবর্তীর সুযোগ্য পুত্র, প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী মানস চক্রবর্তীর কাছেও তিনি উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে তালিম নেন।

১৯৪৫ সালে বাইশরশি শিবসুন্দরী একাডেমি থেকে ম্যাট্রিক পাশের পর উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি নিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গীত চর্চা চালিয়ে যান অমরেশ রায় চৌধুরী। ছোটবেলা থেকেই তার রাগসঙ্গীতের প্রতি গভীর অনুরাগ ছিল।

১৯৬১ সাল থেকে তিনি রাজশাহী মহানগরীর রাণীবাজার এলাকায় ‘মোহিনী নিকেতন’-এ বসবাস শুরু করেন। শিল্পকলা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে অবদানের জন্য তিনি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পদক এবং ২০১৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।

আরও পড়ুন

Lading . . .