প্রকাশ: ৭ আগস্ট, ২০২৫

গাজার দক্ষিণাঞ্চলে মানবিক সহায়তার অপেক্ষায় থাকা মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারালেন ফিলিস্তিনি ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকা সুলেইমান আল-ওবেইদ। ৪১ বছর বয়সী এই সাবেক জাতীয় দলের খেলোয়াড়কে বলা হতো ‘ফিলিস্তিনের পেলে’। ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশন তাকে ‘শহীদ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দক্ষিণ গাজায় মানবিক সহায়তার জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় শহীদ হয়েছেন সুলেইমান আল-ওবেইদ।’
পাঁচ সন্তানের জনক আল-ওবেইদ তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ফিলিস্তিনের জন্য ছিলেন এক অনন্য অনুপ্রেরণা। তিনি খেলোয়াড় ছিলেন যেমন, তেমনি ছিলেন একজন জনপ্রিয় ক্রীড়া ব্যক্তিত্বও—যিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ফিলিস্তিনের মাটিতে, তার জনগণের পাশে ছিলেন।
আল-ওবেইদের ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল গাজার ক্লাব খাদামাত আল-শাতি থেকে। এরপর তিনি খেলেছেন পশ্চিম তীরের আল-আমারি ইয়ুথ সেন্টার ক্লাব এবং পরে গাজা স্পোর্টস ক্লাব-এ। জাতীয় দলের জার্সিতেও ছিলেন নিয়মিত মুখ।
নিজের ক্যারিয়ারে তিনি করেছেন শতাধিক গোল—যা তাকে ফিলিস্তিনি ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা গোলস্কোরারে পরিণত করেছে।
৩২১ জন শহীদ—ফুটবলের রণক্ষেত্র এখন ফিলিস্তিন
ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশন জানায়, চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৩২১ জন ক্রীড়াঙ্গনের মানুষ শহীদ হয়েছেন—যাদের মধ্যে রয়েছেন খেলোয়াড়, কোচ, রেফারি, সংগঠক ও বোর্ড সদস্যরা।
সুলেইমান আল-ওবেইদের মৃত্যু শুধু ফিলিস্তিনি ফুটবলের নয়, গোটা ক্রীড়াবিশ্বের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। গোল করার মাঠ থেকে উঠে যাওয়া এই নীরব নায়ক শেষ পর্যন্ত জীবন দিলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত মাতৃভূমির পাশে দাঁড়িয়ে।
একজন খেলোয়াড়ের গল্প, যা শেষ হলো আগুনের ধোঁয়ার মধ্যে।