মেসিদের ভারত সফর অনিশ্চিত, আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ!
প্রকাশ: ৭ আগস্ট, ২০২৫

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা দলকে ভারতের কেরালা রাজ্যে নিয়ে আসতে বহু মাস ধরে পরিকল্পনা চলছিল। সেই লক্ষ্যে ভারতের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে (এএফএ) প্রায় ২২৫ কোটি টাকা (১৫ মিলিয়ন পাউন্ড) পরিশোধও করে দেয়। কিন্তু এখন আর্জেন্টিার সফর পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ কেরালা সরকার ও চুক্তি-সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠান।
চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৫ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে আন্তর্জাতিক উইন্ডোতে কেরালার মাটিতে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল আর্জেন্টিনার। তবে ভারতের উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ‘ট্যাকটিক্যাল ম্যানেজমেন্ট’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্টো অগাস্টিন দাবি করেছেন, এএফএ এখন সেই সফর ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে সরিয়ে নিতে চাইছে।
‘আমরা জুন মাসেই এএফএকে পুরো অর্থ পরিশোধ করেছি। তারা অর্থ গ্রহণ করে আমাদের ধৈর্যের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছিল। এখন তারা বলছে, সফর এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হোক- এটা চুক্তির লঙ্ঘন, একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়,’ বললেন অগাস্টিন।
অগাস্টিন আরও বলেন, ‘২০২৬ সালে বিশ্বকাপ শুরু হবে জুনে। আমরা জানি না আর্জেন্টিনা তখনো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন থাকবে কি না। আমরা যে টাকা দিয়েছি, তা বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মাঠে দেখার জন্যই। ভক্তদের প্রতারিত করা উচিত নয়।’
কেরালার ক্রীড়ামন্ত্রী ভি আবদুরাহিমানও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘যদি তারা অক্টোবরের জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে, তাহলে সময়মতোই আসা উচিত। আগামী বছর আমাদের রাজ্যে নির্বাচন, ফলে মার্চে ম্যাচ আয়োজন সম্ভব নয়। আর্জেন্টিনার এই প্রস্তাব আমরা মানছি না।’
আপাতত কেরালা সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও মেসির ভারত সফর পুরোপুরি বাতিল হয়নি। ডিসেম্বর মাসে লিওনেল মেসির কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লি ও আহমেদাবাদ সফরের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আর্জেন্টিনা জাতীয় দল কবে খেলবে, সে বিষয়ে এখন স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই।
এদিকে আর্জেন্টিনা দলের পরবর্তী আন্তর্জাতিক সূচি সেপ্টেম্বরে- তারা খেলবে ভেনেজুয়েলা ও ইকুয়েডরের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে।
আর্জেন্টিনার মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলকে ভারতের মাটিতে দেখা লাখো ভক্তের স্বপ্ন। কিন্তু ২২৫ কোটি টাকার বিনিময়ে চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পরও যদি সফর পেছানো হয়, তবে তা শুধু চুক্তি ভঙ্গই নয়, ভক্তদের আস্থারও বড় ধাক্কা। এখন দেখার বিষয়, এই সংকটের কোন পরিণতি দাঁড়ায়- চুক্তি রক্ষা নাকি বাতিল?