দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে দামি কোচ সিমন্স, বাকিরা নিচ্ছেন কত টাকা
প্রকাশ: ৭ আগস্ট, ২০২৫
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই সমর্থকদের মনে। অনেক কিছুর মতো কোচদের বেতন কত, তা জানার আগ্রহও থাকে অনেকের। সেই আগ্রহ পূরণ হতে পারে এবার।
দেশী-বিদেশী মিলিয়ে বর্তমানে জাতীয় দলে বিদেশী কোচিং স্টাফ রয়েছে পাঁচজন। লিটন-তাসকিনদের সময় দেয়ার পরিবর্তে বেশ মোটা অংকের পারিশ্রমিক নিচ্ছেন তারা।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে দামি কোচ হচ্ছেন ফিল সিমন্স। হাথুরুসিংহেকে টপকে সবচেয়ে বেশি বেতনধারী কোচ বনে গেছেন এই ক্যারিবীয় মাস্টারমাইন্ড।
২০২৪ সালের অক্টোবরে চন্দ্রিকা হাতুরাসিংহের বিদায়ের পর সিমন্সকে নিয়োগ দেয় বিসিবি। শুরুতে ৫ মাসের জন্য চুক্তিবদ্ধ ছিলেন ক্যারিবীয় কোচ। গত ৩০ জুন বিসিবি’র পরিচালনা পর্ষদ সেই মেয়াদ বৃদ্ধি করে।
সিমন্সের সাথে নতুন চুক্তি হয়েছে ২০২৭ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ে তিনি মোট বেতন পাবেন আট লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার বা ১০ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ২০০ টাকা।
তিনটি ধারায় বেতন পাবেন সিমন্স। সাথে থাকছে মোটা অংকের বোনাসও। দিতে হবে না কোনো ট্যাক্স। প্রথম বছরে তার মাসিক বেতন ২৬ হাজার ডলার বা বাংলাদেশী টাকায় ৩১ লাখ ৬০ হাজার ৮২০ টাকা।
দ্বিতীয় বছরে বেতন মাসিক ২৭ হাজার ডলার বা ৩২ লাখ ৮২ হাজার ৩৯০ টাকা। আর তৃতীয় মেয়াদে মাসিক বেতন ২৮ হাজার ডলার বা বাংলাদেশী টাকায় ৩৪ লাখ ৩ হাজার ৯৬০ টাকা করে পাবেন সিমন্স।
বেতনের বাইরে মোটা অংকের বোনাস পাবেন সিমন্স। আইসিসির যেকোনো টুর্নামেন্টের দল যদি শেষ চারে ওঠে, তবে বাড়তি ২৫ হাজার ডলার বোনাস পাবেন।
আর ফাইনাল ৫০ হাজার ডলার ও চ্যাম্পিয়ন হলে এক লাখ ডলার বোনাস পাবেন। আর এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হলে পাবেন ২৫ হাজার ডলার বোনাস।
স্পিন কোচ হিসেবে বাংলাদেশ দলের সাথে আছে পাকিস্তানের কিংবদন্তী মুশতাক আহমেদ। তবে নাসুম-মিরাজদের দেখভাল করতে বেশ মোটা অংকের পারিশ্রমিক নিচ্ছেন তিনি।
টাইগারদের স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ অবশ্য মাসিক ভিত্তিতে নয়, দৈনিক হিসেবে বেতন পাচ্ছেন। প্রতিদিনে তার বেতম ৮৬,১০০ টাকা। ২০২৫ সালে ১৩২ ও ২০২৬ সালে ১৩০ দিন কাজ করবেন বলে চুক্তি রয়েছে তার।
এ বছরের ২০ মে বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ হিসেবে যোগ দেন শন টেইট। সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলারের সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তির মেয়াদ ২০২৭ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
আড়াই বছরের চুক্তিতে প্রতি মাসে টেইট পাবেন ১৪ হাজার ডলার বা ১৭ লাখ ২২ হাজার টাকা। পাবেন মোটা অংকের বোনাসও। এর বাইরে তার সকল ট্যাক্স পরিশোধ করবে বিসিবি।
বাংলাদেশের কোচিং স্টাফের আরেক সদস্য জেমস প্যামেন্ট। নিক পোথাস পদত্যাগ করার পর গত এপ্রিলে তাকে জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ করা হয়। তার মাসিক
বেতন ১৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
কোচিং প্যানেলে একমাত্র দেশীয় কোচ সালাহউদ্দিন। যদিও সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, তবে ডেভিড হেম্প দায়িত্ব ছাড়ার পর ব্যাটিং কোচের দায়িত্বও পালন করছেন, যার জন্য মাসে ১০ লাখ টাকা করে নিচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন