Advertisement
  • হোম
  • খেলা
  • আরেকটি এশিয়া কাপের হিসাব মেলাতে যা করতে হবে আফঈদাদ...

আরেকটি এশিয়া কাপের হিসাব মেলাতে যা করতে হবে আফঈদাদের

মানবজমিন

প্রকাশ: ১০ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

গত মাসে মিয়ানমারে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের মূল পর্ব নিশ্চিত করে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী বছর প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপ খেলবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এরইমধ্যে টুর্নামেন্টের সূচিও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। ২০২৬ সালের ৩রা মার্চ এশিয়ান কাপে অভিষেক হবে বাংলাদেশের। ওয়েস্টার্ন সিডনি স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চীন। ৬ই মার্চ একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে। এরপর তৃতীয় ম্যাচটি খেলতে বাংলাদেশকে যেতে হবে অস্ট্রেলিয়ার আরেক প্রান্তে। ৯ই মার্চ পার্থ রেকটাঙ্গুলার স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান। এর পরের মাসে আরেকটি এশিয়ান কাপে অংশ নেয়ার সুযোগ বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে। এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ বয়সীদের এই টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্ব হবে আগামী বছরের এপ্রিলে থাইল্যান্ডে। যেখানে খেলতে মাত্র ১ পয়েন্ট দূরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। আজ লাওসে গ্রুপের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে আফঈদা-তৃষ্ণারা। খেলা শুরু বিকাল ৪টায়। যে ম্যাচে কোরিয়াকে রুখতে পারলেই টিকিট মিলবে থাইল্যান্ডের। হারলেও সুযোগ থাকবে। এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী টুর্নামেন্টের বাছাইয়ে ৩২ দল আট গ্রুপে খেলছে। আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়নের পাশাপাশি সেরা তিন রানার্স আপ দল আগামী বছর চূড়ান্ত পর্বে খেলবে। গতকাল পর্যন্ত আট গ্রুপেই প্রতিটি দল দু’টি করে ম্যাচ খেলেছে। এতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও সম্ভাব্য তিন রানার্সআপের হিসাব-নিকাশ চলছে নানা দেশের ফুটবলাঙ্গনে। বাছাই পর্বে বাংলাদেশ খেলছে ‘এইচ’ গ্রুপে। এই গ্রুপে সাবেক চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়া থাকলেও টেবিলে সুবিধানজক অবস্থানে বাংলাদেশই। বাংলাদেশ ও কোরিয়া দুই দলেরই সমান ৬ পয়েন্ট। গোল ব্যবধানও সমান ১০। আজ ম্যাচ যদি ড্র হয় তাহলে বাংলাদেশই ‘এইচ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে চূড়ান্ত পর্বে যাবে। কারণ টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী, একাধিক দলের সমান পয়েন্ট হলে হেড টু হেড বিবেচনায় আসবে। বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ ড্র হলে হেড টু একই থাকবে। এরপর গ্রুপের মধ্যে গোল ব্যবধান সেটাও সমান। তখন বাইলজের ৭.২.২.৬ ধারা অনুযায়ী বেশি গোলের হিসেব হবে। বাংলাদেশ দুই ম্যাচে করেছে ১১ গোল আর কোরিয়া ১০। এতে বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে। দক্ষিণ কোরিয়া নারী ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি। শুক্রবার স্বাগতিক লাওসের বিপক্ষে এক গোলের কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে তারা। আজ কোরিয়ার বিপক্ষে হারলেও বাংলাদেশের সুযোগ থাকছে মূল পর্বে খেলার। তখন আট গ্রুপের মধ্যে সেরা তিন রানার্স আপ হতে হবে। এজন্য অবশ্য অন্য গ্রুপগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। আট গ্রুপের মধ্যে ‘ডি’ গ্রুপ সেরা রানার্স আপের দৌড় থেকে ইতোমধ্যে ছিটকে গেছে। কারণ এই গ্রুপে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলের পয়েন্ট মাত্র ৪।
ভারত ও মিয়ানমারে মধ্যে শেষ ম্যাচ। ফলে এই গ্রুপের রানার্স আপ দলের ৬ পয়েন্ট হওয়ার সুযোগ নেই। যেখানে ইতোমধ্যে ৬ পয়েন্টই রয়েছে পাঁচ দলের। ফলে ‘ডি’ গ্রুপ বাদ দিয়ে অন্য সাত গ্রুপের মধ্যেই মূলত সেরা তিন রানার্স আপ হওয়ার লড়াই হবে। গতকাল পর্যন্ত ৬ পয়েন্ট নিয়ে সেরা রানার্স আপ হওয়ার দৌড়ে ‘সি’ গ্রুপ থেকে চাইনিজ তাইপে (+৩), ‘ই’ গ্রুপে থেকে লেবানন (+২), এফ গ্রুপ থেকে ইরান (+ ৫), জি গ্রুপ থেকে জর্ডান (+১১) এবং এইচ গ্রুপ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া (+১০)। গোল ব্যবধানে কোরিয়া ও জর্ডান খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থানে। কোরিয়া আজ জিতলে আর জটিল হিসাবে পড়তে হবে না। তবে বাংলাদেশকে তখন কঠিন সমীকরণে থাকতে হবে। এসব যদি কিন্তুর হিসাবে যেতে চাইছেন না বাংলাদেশ নারী দলের ম্যানেজার মাহমুদা অন্যন্যা। গতকাল এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘চূড়ান্ত পর্বে যেতে আমাদের মাত্র এক পয়েন্টের দরকার। এজন্য টেকনিক্যাল দিক নিয়ে কোচ কাজ করছেন। আমার বিশ্বাস মেয়েরা দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ভালো কিছু করেই দেশের জন্য আরেকটি হাসি নিয়েই ফিরতে পারবে।’

আরও পড়ুন

Lading . . .