Advertisement

মাহবুবে তাকিয়ে ঢাকার ক্লাব

কালবেলা

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট, ২০২৫

মাহবুব উল আনাম। ‍ছবি : সংগৃহীত
মাহবুব উল আনাম। ‍ছবি : সংগৃহীত

অক্টোবরেই হওয়ার কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন। সে নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হচ্ছেন কারা, সেসব খবরও মিলছে গণমাধ্যমে; কিন্তু চুপচাপ অবস্থায় আছে বিসিবি। হাতে খুব বেশি সময় না থাকলেও নির্বাচনের তেমন কোনো আমেজ দেখা যাচ্ছে না। উল্টো নির্বাচন পেছানোর পরিকল্পনা চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ঢাকা লিগের ৭৬টি ক্লাবের সংগঠকরা। একই সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ঘিরেও বড় শঙ্কা দেখছেন তারা। সম্প্রতি বিসিবির প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে থাকা অভিজ্ঞ সংগঠক মাহবুব উল আনাম নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সব হিসাবই এলোমেলো হতে দেখা যায় বলে জানান তারা। সংগঠকরা বলছেন, মাহবুব উল আনামেই আস্থা তাদের। বিকল্প খুঁজতে চাচ্ছেন না তারা।

বিসিবির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে লম্বা সময়ের জন্য বোর্ডে চাচ্ছে ক্রীড়া প্রশাসন। চারপাশে এমন গুঞ্জন ধীরে ধীরে ভারি হয়ে উঠছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি বুলবুল। বিপরীতে প্রেসিডেন্ট হওয়ার ইচ্ছা দূরে থাক, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক সমালোচনায় পড়ে বিসিবিতে যে কোনো পদে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্তের কথা বলেছিলেন মাহবুব উল আনাম। তার এমন মন্তব্যের পর হতাশ ঢাকার ক্লাবগুলো। এ পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান জানাতে রোববার বিসিবিতে সভায় বসেছিলেন ঢাকার ৭৬ ক্লাবের প্রতিনিধি। সভা সূত্রে জানা গেছে, ক্লাবগুলোর বিসিবির প্রেসিডেন্ট হিসেবে মাহবুব উল আনামকে দেখতে চাইছে। কেন এমন চাওয়া, তার ব্যাখ্যাও ক্লাব প্রতিনিধিরা বলেছেন।

এক সংগঠক কালবেলাকে বলেছেন, ‘আমরা মাহবুব আনামের অধীনে আগামীর বোর্ড পরিচালনা দেখতে চাই। বর্তমানে সক্রিয় ক্রিকেট সংগঠকদের মধ্যে তার মতো অভিজ্ঞতা, বিচক্ষণতাসম্পন্ন কেউ নেই। ক্রিকেটের উন্নয়নের স্বার্থেই তাকে বোর্ডের সর্বোচ্চ পর্যায়ে চাই আমরা।’ অপর এক সংগঠক জানিয়েছেন, ক্লাব ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান মাহবুব উল আনামের। তিনি বলেন, ‘ক্লাবগুলো বিসিবি থেকে যে পরিমাণ আর্থিক অনুদান পায়, এগুলোর নেপথ্যে মাহবুব আনামের ভূমিকা প্রবল। তার সরাসরি সহযোগিতার কারণে ঢাকা লিগের অনেক ক্লাব মৌসুম ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন করতে পারে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাহবুবের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর মধ্যে আছে দুদকের তদন্ত প্রতিবেদন ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপের একটি দেশের নাগরিকত্বের আবেদন। তবে মাহবুবের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, এ ধরনের তথ্যগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই ছড়ানো হচ্ছে। তারা বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলেই তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। দুদকের সে মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছিল, সে সময়কার বিরোধী দলকে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা করেন। সেই সূত্র ধরে তাকে ব্যাপক নাজেহালও হতে হয়। এবার হচ্ছে তার উল্টো। আন্দোলনে সরকার পরিবর্তনের পর বলা হচ্ছে, ফ্যাসিস্টদের সহযোগী নাকি তিনি!’ মাহাবুব সংশ্লিষ্টদের দাবি, চাপে ফেলে তাকে বিসিবির নির্বাচন থেকে দূরে রাখার উদ্দেশ্যেই এমনটি করা হচ্ছে।

যদিও বৈঠকে ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিরা ঐক্যমতের ভিত্তিতে মাহবুবকেই আগামীতে বোর্ড প্রেসিডেন্টের চেয়ারে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যদিও এ ব্যাপারে কথা বলতে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি মাহবুবের। ক্লাবগুলোর ইচ্ছার কথা মাহাবুবকে জানানো হলেও নির্বাচন নিয়ে এখনো তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই ক্লাবগুলোকে তার সিদ্ধান্ত জানাবেন তিনি।

Lading . . .