বিশ্বকাপের পর প্রথমবার ওয়ানডেতে মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট, ২০২৫

২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পর আবারো ওয়ানডে ফরম্যাটে মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামীকাল থেকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামছে দুই দল। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে হওয়া আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামছে তারা। দু’দলের লক্ষ্য ওয়ানডে সিরিজ জয়।
অস্ট্রেলিয়ার কেয়ার্নসে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায়।
ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ওই আসরে দুইবার দেখা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার। লিগ পর্বে অস্ট্রেলিয়াকে ১৩৪ রানের বড় ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেছিল প্রোটিয়ারা। এরপর সেমিফাইনালে আবারো দেখা হয় দু’দলের। শেষ চারের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে অস্ট্রেলিয়া। গত বিশ্বকাপের ম্যাচের পর ওয়ানডেতে আর দেখা হয়নি অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার।
এ বছরের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ওয়ানডেতেও কোনো ম্যাচ খেলেনি অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ওয়ানডে থেকে অবসর নেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাদের জায়গা পূরণের চ্যালেঞ্জ অস্ট্রেলিয়া টিম ম্যানেজমেন্টের সামনে। ক্যামেরুন গ্রিন ও অ্যালেক্স ক্যারিকে দিয়ে জায়গা পূরণের পরিকল্পনা আছে অজিদের।
অধিনায়ক মিচেল মার্শ বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ওয়ানডে খেলতে নামছি আমরা। এই দলে স্মিথ ও ম্যাক্সওয়েলের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় নেই। তবে আমরা আশাবাদী তাদের জায়গায় যারা সুযোগ পাবে তারা নিজেদের উজাড় করে দেবে।’
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। এই সিরিজ দিয়ে আবারো মাঠে ফিরতে যাচ্ছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে ওয়ানডেতে অভিষেক হতে পারে বিধ্বংসী ব্যাটার ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের। অজিদের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছেন তিনি। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫৬ বলে অপরাজিত ১২৫ ও শেষ ম্যাচে ২৬ বলে ৫৩ রান করেন ব্রেভিস।
ওয়ানডেতে খেলার সুযোগ পেলে দলের জয়ে অবদান রাখতে চান ব্রেভিস। তিনি বলেন, ‘আমার মূল লক্ষ্য রান করা এবং দলের জয়ে বড় অবদান রাখা। টি-টোয়েন্টি ম্যাচের অভিজ্ঞতা ওয়ানডেতে কাজে লাগবে। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের বিপক্ষে রান করা সহজ নয়। তবে নিজের কাজ ঠিকঠাক করতে পারলে বড় ইনিংস খেলা সম্ভব।’
ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ১১০ বার মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। জয়ের পাল্লা ভারী প্রোটিয়াদের দিকে। দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৫৫ ম্যাচে এবং অস্ট্রেলিয়ার জয় ৫১ ম্যাচে। ৩টি ম্যাচ টাই ও ১ ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
অস্ট্রেলিয়া দল : মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), জেভিয়ার বার্টলেট, অ্যালেক্স ক্যারি, বেন ডোয়ার্শিস, ন্যাথান এলিস, ক্যামেরন গ্রিন, জশ হ্যাজেলউড, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিস, মার্নাস লাবুশেন, অ্যারন হার্ডি, কুপার কনোলি, ম্যাট কুনেমান এবং এডাম জাম্পা।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল : টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), কর্বিন বোশ, ম্যাথু ব্রিটস্কি, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, নান্দ্রে বার্গার, টনি ডি জর্জি, আইডেন মার্করাম, সেনুরান মুথুসামি, কেশব মহারাজ, উইয়ান মুল্ডার, লুঙ্গি এনগিদি, লুহান-ডি প্রিটোরিয়াস, কাগিসো রাবাদা, রায়ান রিকেলটন, ট্রিস্টান স্টাবস, প্রেনেলান সুব্রায়েন।