Advertisement
  • হোম
  • খেলা
  • বাফুফের গঠনতন্ত্রের খসড়া চূড়ান্ত, থাকছে না বয়সসীমা

বাফুফের গঠনতন্ত্রের খসড়া চূড়ান্ত, থাকছে না বয়সসীমা

মানবজমিন

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

বাফুফের বিদ্যমান গঠনতন্ত্রে ২৫ বছরের কম এবং ৭২ বছরের বেশি হলে নির্বাচনে প্রার্থিতার অযোগ্যতা হিসেবে ধরা রয়েছে। ফিফার গঠনতন্ত্রেও ৭২ বছরের অধিক বয়সী ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। কিন্তু বাফুফের খসড়া গঠনতন্ত্রে বয়সের এই নিষেধাজ্ঞা নেই। যেকোনো বয়সের কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)-এর গঠনতন্ত্র সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। যেখানে থাকছে না বয়সের কোনো বিধিনিষেধ। ২৫ বছরের অধিক বয়সী যেকোনো ব্যক্তি বাফুফের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। তবে খসড়া গঠনতন্ত্রের ৩৭ অনুচ্ছেদে সেটা সর্বোচ্চ তিন বারের বেশি নয় এমন বিধান রাখা হয়েছে। ফিফার গঠনতন্ত্রেও তিন বারের বেশি কোনো পদে থাকা যাবে না এমন নিয়ম রয়েছে। তবে সেখানে সভাপতি পদে খানিকটা শিথিলতা রয়েছে। কেউ দুই মেয়াদে সহ-সভাপতি বা সদস্য থাকলে পরবর্তীতে সভাপতি নির্বাচিত হলে তিনি আরও দুইবার সভাপতি পদে নির্বাচন করতে পারবেন। অন্য পদের মেয়াদ গণ্য হবে না। বাফুফে খসড়া গঠনতন্ত্রে সভাপতির এমন বিশেষ সুবিধা রাখা হয়নি।

বাফুফে বর্তমান নির্বাহী কমিটির মধ্যে সত্যজিৎ দাশ রুপু সর্বোচ্চ পাঁচ (টানা), আমিরুল ইসলাম বাবু ও বিজন বড়ুয়া চার মেয়াদ, তাবিথ আউয়াল, ইকবাল হোসেন, মাহফুজা আক্তার কিরণ, জাকির হোসেন চৌধুরী তিন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। নতুন গঠনতন্ত্র পাস হলেও তারা পুনরায় নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন। গঠনতন্ত্রের ৯১ অনুচ্ছেদে ট্রানজিশনাল প্রভিশনের ৪ ধারায় বলা হয়েছে নতুন গঠনতন্ত্র পাস হওয়ার পরবর্তী নির্বাচন থেকে মেয়াদ গণনা শুরু হবে। বাফুফের বর্তমান গঠনতন্ত্রে নির্বাচন নিয়ে তেমন সুবিন্যস্ত ব্যাখ্যা নেই। তবে খসড়া গঠনতন্ত্রে ফিফা-এএফসি আদলে নির্বাচন ব্যবস্থা একটু জটিল করা হয়েছে। সভাপতি, সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করতে হলে এখন দুই জন সমর্থক কিংবা প্রস্তাবক হলেই হয়। খসড়ায় সেখানে কমপক্ষে পাঁচ জনের সমর্থন প্রয়োজন। সদস্য পদের জন্য ২ জনই বহাল আছে। সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি পদে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেলেই নির্বাচিত হয়ে এসেছে এতদিন। এখন সেটা আরও একটু কঠিন করা হয়েছে। এই পদগুলোতে নির্বাচিত হতে হলে কাস্টিং ভোটের ৫০ শতাংশ পেতে হবে। বাফুফের বিদ্যমান গঠনতন্ত্রে ২৫ বছরের কম এবং ৭২ বছরের বেশি হলে নির্বাচনে প্রার্থিতার অযোগ্যতা হিসেবে ধরা রয়েছে। ফিফার গঠনতন্ত্রেও ৭২ বছরের অধিক বয়সী ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। কিন্তু বাফুফের খসড়া গঠনতন্ত্রে বয়সের এই নিষেধাজ্ঞা নেই। যেকোনো বয়সের কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। নতুন গঠনতন্ত্র পাস হলে বাফুফের চার বারের সভাপতি ৭১ বছর বয়সী কাজী সালাউদ্দিনেরও আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকছে। খসড়া গঠনতন্ত্রে নির্বাহী কমিটির আকার সেই ২১ জনই। বিন্যাসটাও আগের মতোই রাখা হয়েছে। সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, চার সহ-সভাপতি ও ১৫ নির্বাহী সদস্য। তবে ১৫ নির্বাহী সদস্যের মধ্যে ন্যূনতম দুই জন নারী সদস্যের বিধান রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের ফুটবল প্রশাসনিক কাঠামোতে উপরের দিকে বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশনের অবস্থান। খসড়া গঠনতন্ত্রে বাফুফের অংশীদার কিংবা ডেলিগেট কোথাও বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশন নেই। যদিও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন রয়েছে। কাউন্সিলর তালিকায় বিদ্যমানের মতো দ্বিতীয় বিভাগে ১০ ও তৃতীয় বিভাগে ৮ দলের ভোটাধিকার রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে খানিকটা ভিন্নতা রয়েছে। বাফুফের অধীভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এতদিন সরাসরি ভোটাধিকার পেলেও এবার আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ তিন দলকে ভোটাধিকার প্রদানের কথা বলা হয়েছে খসড়ায়। বাংলাদেশের ফুটবলের প্রকৃত পাইপলাইন পাইওনিয়ার লীগ। সেই পাইওনিয়ারের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি বাফুফের গঠনতন্ত্রে ছিল না। খসড়া গঠনতন্ত্রে বাফুফের পার্টনার/সদস্য হিসেবে পাইওনিয়ার ক্লাবগুলোকে স্বীকৃতি থাকলেও ভোটাধিকার প্রস্তাব দেয়া হয়নি। অ্যাথলেটিক্স, হকিসহ অনেক ফেডারেশনের গঠনতন্ত্রে রয়েছে- চার বছরের মধ্যে অন্তত দু’টি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ না করলে ভোটাধিকার থাকবে না। খসড়া গঠনতন্ত্রে এ রকম কোনো বাধ্যবাধকতা কিংবা এই ফাঁক-ফোকর আটকানোর কোনো ধারা দেখা যায়নি। বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্যদের এক মাসের মধ্যে খসড়া নিয়ে মতামত দিতে বলা হয়েছে। সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, এনএসসি এবং আরেক সহ-সভাপতি সাব্বির আহমেদ আরেফ ক্লাব-জেলাগুলোর সঙ্গে খসড়া নিয়ে আলোচনা করবেন। সংযোজন-বিয়োজন থাকলে সেটা আবার ফিফার সঙ্গে আলোচনা করবে ফেডারেশন। নির্বাহী সভায় আনুষ্ঠানিক পাসের পর সাধারণ পরিষদে উঠবে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য। এজিএম পাস হওয়ায় পরই মূলত নতুন গঠনতন্ত্র কার্যকর হবে।

আরও পড়ুন

Lading . . .