Advertisement

৩ ধাপে সুস্থ হয়ে ফিরলেন সূর্যকুমার

মানবজমিন

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

এশিয়া কাপের দল ঘোষণার আগে ভারতীয় নির্বাচকদের বড় দুশ্চিন্তা ছিল সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে। দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সূর্যকুমার তখনও ব্যাঙ্গালুরুর ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’-এ পূনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন। স্পোর্টস হার্নিয়ার চোট সারিয়ে ছয় সপ্তাহ পর মাঠে ফিরেছেন তিনি। সুস্থ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়ার কাহিনী নিজেই জানিয়েছেন সূর্যকুমার।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) শেষ দিকে চোট ধরা পড়ে ভারতীয় অধিনায়কের। এরপরই এমআরআই করিয়ে জার্মানি চলে যান অস্ত্রোপচারের উদ্দেশ্যে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় এসব নিয়ে কথা বলেন ৩৪ বছর বয়সী সূর্যকুমার নিজেই। এ ভারতীয় ব্যাটার বলেন, ‘আইপিএলের শেষ দিকে আমার চোট ধরা পড়ে। আমি বুঝতে পারছিলাম, সমস্যা হচ্ছে। কারণ, গত বছরও এ ধরনের চোট পাই। এমআরআই করাই। তারপর জার্মানি যাই। গতবারও গিয়েছি। ওখানেই অস্ত্রোপচার হয়।’

একই ধরণের চোট দু’বার হওয়ার তিনি জানতেন সুস্থ হয়ে উঠতে কী কী করতে হবে। আগের বার পূনর্বাসন করেন বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে। এবার সেন্টার অব এক্সিলেন্সে অভিজ্ঞতা ছিল আগের থেকেও ভালো। তিনটি ধাপে সুস্থ হয়ে ওঠেন সূর্যকুমার, যার প্রথমটি ইনডোর ও জিমে অনুশীলন। সেখানে কোমরে দড়ি বেঁধে দৌড়, ভারোত্তোলনসহ বিভিন্ন ধরনের অনুশীলন করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সূর্যকুমার বলেন, ‘এখানে জিমের এলাকা বিশাল। একসঙ্গে ৩০-৩৫ জন ঘাম ঝরাতে পারবে। বিশ্বমানের সব সরঞ্জাম রয়েছে। তার মধ্যে বেশির ভাগই ব্যবহার করেছি।’

এর দু’সপ্তাহ পর মাঠে নেমে অনুশীলন করেন এ ডানহাতি ব্যাটার। নেটে ব্যাটিংয়ের অনুশীলনটাও সারেন তিনি। সূর্যকুমার বলেন, ‘এখানে অনুশীলনের পরিকাঠামো দারুণ। তিনটি মাঠে ৬০-৭০টা পিচ করা আছে। শুধু পূনর্বাসনের জন্য নয়, কোনো ক্রিকেটার যদি বোর্ডের অনুমতি নিয়ে এমনিই এসে অনুশীলন করতে চান, তাতে তার লাভই হবে।’ তৃতীয় ও শেষ ধাপে পুরোদমে ম্যাচ খেলা শুরু করেন সূর্যকুমার। সেন্ট্রাল অব এক্সিলেন্সের নিজস্ব দল রয়েছে। তাদের সঙ্গে ক্রিকেটাররা নিজেদের ঝালিয়েও নিতে পারেন। ভিডিওতে সেখানে খেলতে দেখা যায় সূর্যকুমারকে। প্রায় ছয় সপ্তাহ পর সেখান থেকে ছাড়পত্র পেলে পরেই তাকে এশিয়া কাপের স্কোয়াডের অধিনায়ক রেখে দল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকর।

শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে ওঠার পাশাপাশি মানসিকভাবেও শক্তি ফিরে পেয়েছেন সূর্যকুমার। ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, ‘পূর্নবাসনের সময় যে কোনো ক্রিকেটারকে মানসিক ভাবে শক্তিশালী থাকতে হয়। আমাকেও (থাকতে) হয়েছে। এখানে সবাই মিলে আমাকে সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। এখন (আমি) মানসিক ভাবে আগের চেয়েও শক্তিশালী। আশা করছি, আগের চেয়েও ভাল খেলব।’ আগামী ৯ই সেপ্টেম্বর পর্দা উঠবে এশিয়া কাপের। নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে পরদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে ভারত।

আরও পড়ুন

Lading . . .