প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার লিগে তাইজুল
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

দক্ষিণ আফ্রিকার জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এসএ টি-টোয়েন্টির চতুর্থ আসরের নিলামে ভিন্নরকম অভিজ্ঞতা হলো দুই বাংলাদেশির। বামহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম শেষ মুহূর্তে জায়গা করে নিলেন ডারবান সুপার জায়ান্টস দলে। কিন্তু বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিই আগ্রহ দেখায়নি, ফলে তিনি থেকে গেলেন অবিক্রীত।
দলীয় ভারসাম্য ও নানা কারণ মিলিয়ে বিপিএলেও নিয়মিত মাঠে নামার সুযোগ পান না তাইজুল। গত বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের হয়ে দুইটি ম্যাচে খেলতে পেরেছিলেন তিনি। সেই বাঁহাতি স্পিনার দল পেয়েছেন এসএ টোয়েন্টিতে। দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটির নিলামে বাংলাদেশের স্পিনারকে ৫ লাখ র্যান্ড (প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার মার্কিন ডলার) দিয়ে দলে নিয়েছে ডারবান সুপার জায়ান্টস।
বলার অপেক্ষা রাখে না, দেশের বাইরের লিগে এই প্রথম সুযোগ পেলেন ৩৩ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার। এই টুর্নামেন্টে দল পাওয়া বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটারও তিনিই।
মূল নিলাম পর্ব শেষে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের চাহিদার ভিত্তিতে ‘এক্সপ্রেস’ পর্বে নাম ওঠে তাইজুলের। সেখান থেকেই তাকে দলে নেয় ডারবান।
বাংলাদেশের আরও ১৩ ক্রিকেটার নাম নিবন্ধন করেছিলেন নিলামে। কেবল মুস্তাফিজুর রহমান ছাড়া আর কারও নামই ওঠেনি নিলাম প্রক্রিয়ায়। যার মানে লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান, তানজিম হাসান, তাওহিদ হৃদয়, শেখ মেহেদি হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলি, শামীম হোসেন, শরিফুল ইসলাম, নাহিদ রানাদের নিয়ে আগ্রহ ছিল না দলগুলির। সেখানেই চমকে দেন তাইজুল।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণের সবচেয়ে বড় ভরসা তাইজুল। তবে টি-টোয়েন্টিতে দেশের ক্রিকেটে খুব বড় নাম তিনি নন। দেশের জার্সিতে স্রেফ দুটি টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ মিলেছে তার সেই ২০১৯ সালে। ২০ ওভারের ক্রিকেটে সব মিলিয়ে ১০৫ ম্যাচ খেলে তার উইকেট ৮৮টি। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৭.৪২ করে, সেরা বোলিং ১০ রানে ৩ উইকেট। বিপিএলে ৭৯ ম্যাচ খেলে তার উইকেট ৬১টি।
আরও পড়ুন