প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও না কি ধান ভানে! লুইজ সুয়ারেজও তেমনি চরিত্র। সব কিছু বদলে গেলেও তিনি আছেন আগের মতোই, সাথেই রেখেছেন সব বিতর্ক। ভুল হয়নি মায়ামির জার্সিতেও, থুতু দিয়ে হয়েছেন সমালোচিত।
বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য লুইস সুয়ারেজের ‘কুখ্যাতি’ আছে বেশ। তার কামড় কাণ্ড এখনো বেশ আলোচিত। শুধু কামড় নয়, ফুটবল মাঠে একাধিকবার পাগলাটে সব কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। পেয়েছেন কড়া সব শাস্তিও।
তবুও নিজেকে বদলাননি লুইস সুয়ারেজ। আবার করলেন তেমনই এক কাণ্ড। লিগস কাপের ফাইনালে হতাশার হার থেকে সংযম হারিয়ে বিপক্ষ দলের এক জনকে থুতু দিয়েই বসলেন সুয়ারেজ। ফলে বড়সড় শাস্তির মুখে পড়লেন তিনি।
৬ ম্যাচের জন্য সুয়ারেজকে নিষিদ্ধ করল মেজর লিগ সকার। শাস্তি পেয়েছেন তার মায়ামি সতীর্থ সের্জিও বুস্কেটসও। তাকেও দু’ম্যাচের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
ঘটনা গত রোববার (৩১ আগস্ট) লিগস কাপের ফাইনালের। সাউন্ডার্স ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে দেয় মিয়ামিকে। হারের পর তা হজম করতে না পেরে মাঠে হাতাহাতি শুরু করেন মায়ামির অনেকেই।
এ সময় সতীর্থ ও কোচরা আটকে রাখার পরও সুয়ারেজ প্রতিপক্ষ দলের এক স্টাফের দিকে থুতু ছুড়ে দেন। এই গোলযোগের মাঝেই সার্জিও বুস্কেটস সিয়াটলের ওবেদ ভার্গাসকে ঘুষি মারেন। আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে তোমাস আবিলেসও।
যে কারণে তাদের শাস্তি দিয়েছে আয়োজক কমিটি। সুয়ারেজকে ৬ ম্যাচ, বুস্কেটসকে ২ ও আবিলেসকে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে সে দিনের ঘটনায়।
সিয়াটল সাউন্ডার্সের কোচিং স্টাফ সদস্য স্টিভেন লেনহার্টকেও লিগস কাপ ২০২৫ এর নিয়মাবলীর ৪.২.সি অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করার কারণে তাকে পাঁচ ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘লিগস কাপের নিয়ম অনুযায়ী, শাস্তিপ্রাপ্ত চারজনকেই জরিমানা করা হবে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো পরবর্তী বা পরবর্তী আসরগুলোতে কার্যকর হবে যতক্ষণ না পুরোপুরি শেষ হয়।’
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘মেজর লিগ সকার (এমএলএস) সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের ওপর অতিরিক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে।’
তবে তাদের এই নিষেধাজ্ঞা লিগস কাপের পরবর্তী আসরে কার্যকর হবে। এর বাইরে মেজর লিগ সকারসহ অন্য যেকোনো প্রতিযোগিতায় প্রয়োগ হবে না এই শাস্তি। অর্থাৎ শাস্তি পেতে হলে এক বছর অপেক্ষা করতে হবে সুয়ারেজদের।
সুয়ারেজ কেবল থুতু ছিটিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি, সিয়াটলের আরেক খেলোয়াড়ের গলায় হাত দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমএলএস কর্তৃপক্ষ পুরো ঘটনাই তদন্ত করছে।
অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে আরো বড় শাস্তি হতে পারে সুয়ারেজের। তবে এসব শাস্তি তার জন্য নতুন কিছু নয়। প্রতিপক্ষকে তিনবার কামড় দিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা মেয়াদে নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি।
এর আগে, ২০১০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ঘানার বিপক্ষে ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডবল করেছিলেন, যা তার দলকে সেমিফাইনালে উঠতে ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন