Advertisement
  • হোম
  • খেলা
  • পাকিস্তানের ‘বিশেষ’ কোটার কারণে প্লে অফ খেলতে হবে ...

পাকিস্তানের ‘বিশেষ’ কোটার কারণে প্লে অফ খেলতে হবে বাংলাদেশকে

মানবজমিন

প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

24obnd

টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী এশিয়া কাপ হকিতে চ্যাম্পিয়ন দল বিশ্বকাপ খেলবে সরাসরি। আর পয়েন্ট টেবিলে পরের পাঁচ দল খেলবে বাছাইপর্বে। এবারের এশিয়া কাপে ষষ্ঠ হয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এরপরও বাছাইপর্বে খেলার আগে প্লে অফ খেলতে হবে লাল সবুজ প্রতিনিধিদের। এর কারণ, পাকিস্তানের জন্য ‘বিশেষ কোটা’। পাকিস্তান এবার এশিয়া কাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করায় বিশেষ নিয়ম চালু করেছে আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন (এফআইএইচ)। সেই নিয়মে, টুর্নামেন্টের শীর্ষ পাঁচে থাকলেই কেবল বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলার সুযোগ মিলবে। ষষ্ঠ হওয়া দলকে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলতে হবে প্লে-অফ। স্থান নির্ধারণী ম্যাচে গতকাল শক্তিশালী জাপানের কাছে ৬-১ গোলে হেরে যায় আশরাফুল-রোমানরা। ভারতের বিহারের রাজগিরে ৯, ১৫, ৩৬, ৩৮, ৫০ ও ৫৬তম মিনিটে গোল পায় জাপান। দলের হয়ে শিনওয়ারা রিয়োশুকে হ্যাটট্রিক করেন। বাংলাদেশ একটি গোল শোধ দেয় ৫৫ মিনিটে। আমিরুল ইসলাম আক্রমণ থেকে ব্যবধান কমান। বাংলাদেশের শেষ ম্যাচের আগেই এ নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। কারণ জাপানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে হারলেও ষষ্ট হওয়া নিশ্চিত হয় আগেই। কিন্তু জানা যায় এই ম্যাচে জিতলে তবেই সরাসরি বাছাইয়ে খেলতে পারবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) রিয়াজুল হাসানও টুর্নামেন্টের শুরু থেকে জানতেন, শীর্ষ ছয়ে থাকলেই পাওয়া যাবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলার সুযোগ। কিন্তু দুই দিন আগে এফআইএইচ থেকে পাওয়া চিঠিতে জানানো হয়, অন্তত পঞ্চম হতে হবে এশিয়া কাপে। তিনি বলেন, ‘আমরাও এত দিন জানতাম, শীর্ষ ছয়ের মধ্যে থাকলে সরাসরি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলা যাবে। কিন্তু দুই দিন আগে এফআইএইচ (আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন) থেকে একটা চিঠি পাই, শীর্ষ পাঁচে থাকলে সরাসরি বিশ্বকাপে (বাছাইয়ে) যাওয়া যাবে। আর ষষ্ঠ হলে পাকিস্তানের সঙ্গে প্লে-অফ খেলতে হবে।’

টুর্নামেন্টের বাইলজে এমন কোনো নিয়ম নেই। তবু কেন এমনটা হলো? রিয়াজুল হাসানের দাবি, পাকিস্তানকে বিশেষ সুবিধা দিতেই এই পদ্ধতি চালু করেছে এফআইএইচ। তিনি বলেন, ‘যেহেতু পাকিস্তান (নিরাপত্তার কারণে) ভারতে আসতে পারেনি। সে জন্য এফআইএইচ তাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করেছে।’

আরও পড়ুন

Lading . . .