Advertisement
  • হোম
  • খেলা
  • পূর্ব তিমুরের জালে ৮ গোল বাংলাদেশের হ্যাটট্রিক তৃষ...

পূর্ব তিমুরের জালে ৮ গোল বাংলাদেশের হ্যাটট্রিক তৃষ্ণার

মানবজমিন

প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে ৮-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। হ্যাটট্রিক করেছেন তৃষ্ণা রানী। একটি করে গোল করেন সিনহা জাহান শিখা, শান্তি মার্ডি, নবীরণ খাতুন, মুনকি আক্তার ও মোসাম্মত সাগরিকা। আগামীকাল গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এর আগে গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৩-১ গোলে হারিয়েছিল স্বাগতিক লাওসকে।
এদিন ভিয়েনতিয়েনের নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর প্রথম ১৫ মিনিট খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। মাঝমাঠ থেকে গড়ে ওঠা একাধিক আক্রমণগুলো নষ্ট করেছেন ফরোয়ার্ডরা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ২০ মিনিটে আসে বাংলাদেশের প্রথম সাফল্য। স্বপ্না রানীর কর্নার থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল করেন সিনহা জাহান শিখা। ৩২ মিনিটে কর্নার থেকে অবিশ্বাস্য এক অলিম্পিক গোল করেন শান্তি মার্ডি। কর্নার থেকে সরাসরি করা গোলকেই বলা হয় অলিম্পিক গোল। এরপর ম্যাচের ৩৬ মিনিটে শান্তির কর্নার থেকে গোল করেন ফরোয়ার্ড নবিরন খাতুন। প্রথমার্ধের শেষদিকে তৃষ্ণা রানীর গোলে ৪-০ হয় বাংলাদেশের স্কোর। চার গোলে এগিয়ে থেকে ড্রেসিংরুমে যায় বাটলারের শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধে আরও আক্রমণাত্নক খেলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। এই অর্ধেও গুনে গুনে ৪টি গোল দেন তারা। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তৃষ্ণা রানী। ৭৩ মিনিটে তিমুরের এক ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে কাটিয়ে একক প্রচেষ্ঠায় অসাধারণ এক গোল করেন সাগরিকা। ৮৩ মিনিটে সাগরিকার পাসে হ্যাটট্রিক গোল করেন তৃষ্ণা রানী। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে স্কোর ৮-০ করেন মুনকি আক্তার। এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৯-০ গোলে হেরেছিল দলটি।
র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক পিছিয়ে পূর্ব তিমুর। ফিফা র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী, যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৪তম, তিমুর লেস্তে সেখানে ১৫৮তম। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক লাওসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টটিতে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে জোড়া গোল করেন মোসাম্মত সাগরিকা। আরেক গোল আসে মুনকি আক্তারের পা থেকে। দুই জয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ পূর্ণ ৬ পয়েন্ট। গোল ব্যবধান ১০। বাংলাদেশের গ্রুপের শেষ ম্যাচ শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে। ওই ম্যাচে বাস্তবিক অর্থে পয়েন্ট আদায় করা অসম্ভব আফঈদাদের জন্য। অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন এবং সেরা তিনটি রানার্সআপ দল খেলবে মূল পর্বে। বাংলাদেশের গ্রুপে কোরিয়ার মতো শক্তিশালী দল থাকায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা কম। রানার্সআপ হওয়ার লক্ষ্যে এরইমধ্যে লাওস ও তিমুরকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আগামীকাল দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে কমব্যবধানে হারলেই চূড়ান্ত পবে যাওয়ার সুযোগ বাড়বে বাংলাদেশের।

আরও পড়ুন

Lading . . .