Advertisement

ট্রমা কাটাতে ব্যবস্থা নিল বাফুফে

কালবেলা

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ট্রমা কাটাতে ব্যবস্থা নিল বাফুফে
ট্রমা কাটাতে ব্যবস্থা নিল বাফুফে

অবরুদ্ধ ফুটবলারদের নিয়ে উৎকণ্ঠা কেটে গেছে গতকাল সকালে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সদস্যরা হোটেল ছেড়ে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার মাধ্যমে। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমান কুর্মিটোলায় অবতরণের মাধ্যমে শেষ হলো ফুটবলারদের ঘিরে দুশ্চিন্তা, অনিশ্চয়তা!

নেপালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরুর পর স্বাগতিকদের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ফিফা প্রীতি ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। তার পর থেকে কার্যত জাতীয় ফুটবল দল হোটেলে অবরুদ্ধ ছিল। নিরাপত্তা ঝুঁকি না থাকলেও দলের সদস্যদের নিয়ে ছিল উৎকণ্ঠা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে), যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে ফুটবল দলের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছিল। গতকাল বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে ফুটবল দলকে কাঠমান্ডু থেকে ফিরে আনা হয়েছে।

দেশে ফেরা ফুটবলারদের ট্রমা কাটাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ এম আউয়াল, ‘ফুটবলারদের ট্রমা কাটাতে আমাদের চিকিৎসার প্রক্রিয়া রয়েছে। যাদের প্রয়োজন হয়, তাদের অবশ্যই মানসিক কোচিং, সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট দেব। যাদের লাগবে না তাদেরও আমরা পর্যবেক্ষণে রাখব। অনেক সময় এমন পরিস্থিতিতে ফিজিক্যাল শক হয়। আমরা এ বিষয়ে সচেতন রয়েছি।’ সাবেক এ ফুটবলার আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সের মেডিকেল টিম প্রস্তুত ছিল। ফুটবলারদের বিশেষভাবে চিকিৎসাজনিত কিছু প্রয়োজন হলে তাদের সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।’

বাংলাদেশ দল কাঠমান্ডু ছাড়ার আগে ত্রিভুবন বিমাবন্দরে নেপালের বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর মোহাম্মদ শোয়েব আব্দুল্লাহ পরিস্থিতি ব‍্যাখ‍্যায় বলেছেন, ‘পুরো প্রক্রিয়াটা ছিল ঝামেলাপূর্ণ। আপনারা সবাই জানেন নেপালের পরিস্থিতি কেমন ছিল। মাত্র দেড় দিনের মাথায় একটা দেশের পরিস্থিতি এত অবনতির দিকে যাবে, এটা আসলে কেউ ধারণাও করতে পারেনি।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘৯ সেপ্টেম্বর আমাদের দ্বিতীয় ম‍্যাচ ছিল। আমরা সেই ম‍্যাচ দেখার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলাম। সেদিন সকাল থেকে পরিস্থিতি খারাপ হয় এবং রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। চারদিকে ঝামেলা হচ্ছিল। এজন‍্য আমরা খুবই চিন্তিত ছিলাম যে, বাংলাদেশ ফুটবল দলের কী হবে।’

বাংলাদেশ দল এবং গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ এম আউয়াল, ‘প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাই আন্তরিকভাবে সহায়তা করেছেন। বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই বাংলাদেশ বিমানবাহিনী, আর্মি এবং আর্মড ফোর্সকে, যারা সফলভাবে কাঠমান্ডু থেকে সবাইকে নিয়ে দেশে নিয়ে এসেছেন।’

নেপাল-বাংলাদেশ প্রীতি ম্যাচ কভার করতে ঢাকা থেকে যাওয়া বিভিন্ন গণমাধ্যমের ১৭ প্রতিনিধি কাঠমান্ডুতে অবরুদ্ধ ছিলেন। বিশেষ বিমানে তাদেরও ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নেপাল থেকে বিশেষ বিমানে ফেরা বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) সাধারণ সম্পাদক মো. সামন হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘কাঠমান্ডুতে কী পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম—ভাষায় প্রকাশ করার মতো না! আলহামদুলিল্লাহ, অবশেষে আমরা ফিরতে পেরেছি। বাংলাদেশ সরকার, বাফুফে কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ।’

আরও পড়ুন

Lading . . .