প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

এখন আর পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই বাংলাদেশের। কঠিন হয়ে উঠেছে শেষ চারের সমীকরণ। আসরে টিকে থাকতে হলে দিতে হবে মরণ কামড়৷ যে করেই হোক মঙ্গলবার হারাতে হবে আফগানদের।
গ্রুপ অব ডেথে থাকায় কাজটা এমনিতেই কঠিন ছিল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাজেভাবে হেরে যাওয়ায় নেট রান রেটে অনেকটা পিছিয়ে গেছেন লিটন দাসরা। শেষ চারে ওঠা তাই কঠিন হয়ে গেছে টাইগারদের।
গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের ম্যাচ শেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে। পরিসংখ্যানে যেখানে তাদের চেয়ে পিছিয়েই আছে বাংলাদেশ। আবু ধাবির ‘আবহ’ বিবেচনাতেও এগিয়ে থাকবেন রশিদ খানরা।
অবশ্য টাইগারদের স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ আত্মবিশ্বাসী আফগানদের হটিয়ে সুপার ফোরে খেলা নিয়ে। আজ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি জোর দিয়েই বলেন সেই কথা।
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, আপনাকে সেই বিশ্বাস রাখতে হবে। কোচ ও ম্যানেজমেন্ট বারবার তাদের এটাই বলছে। আমারো এই বিশ্বাস আছে আমরা সুপার ফোরে যাব। ইনশাআল্লাহ।’
তিনি আরো বলেন, ‘যখন আপনাকে যদি কিন্তুর ওপর নির্ভর করতে হয় তখন সেটা কঠিন। যদি কিন্তুর ওপর নির্ভর করলেও আপনাকে পরের ম্যাচে মনোযোগ দিতে হবে ও সবার আগে ম্যাচটা জিততে হবে।
‘আপনি যখন মানসিকভাবে শক্তিশালী হবেন তখন আপনার বিশ্বাস থাকবে। আমি বিশ্বাস করি এমন কিছু হতে পারে।’ যোগ করেন মুশতাক আহমেদ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটা হতে পারে তাদের স্পিন বিভাগ সামলানো। অধিনায়ক রশিদ খানের সাথে আছেন মোহাম্মদ গাজানফার ও নূর আহমেদ। আছেন মুজিব উর রহমানও।
তাদের সবাই প্রতিপক্ষের ব্যাটিং ইউনিটকে একাই গুঁড়িয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখেন। মুশতাকও স্বীকার করছেন সেটা। তবে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচের চাওয়া, স্কোর বোর্ডে ভালো একটা স্কোর।
মুশতাক বলেন, ‘তাদের স্পিন বিভাগটা খুবই ভালো। বিশেষ করে মাঝের ওভারগুলোতে। আমরা যদি মাঝের ওভারে কাউন্টার অ্যাটাক করতে পারি ও ভালো স্কোর দিতে পারি তাহলে তাদের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারব।’
ভালো না করলেও ব্যাটারদের ওপর বিশ্বাস রাখার কথা বলেন মুশতাক। উদাহরণ টেনে বলেন, জানেন তো, আমি ইমরান খান, মিয়াদাদ, ওয়াসিম আকরামদের সাথে খেলেছি, তারা লিজেন্ড। তারা আমাকে শিখিয়েছে তোমার বিশ্বাস না থাকলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করবে না।
‘ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করছে। মাইন্ডসেট বদলাতে হবে। তামিম, ইমন, জাকের, শামীমরা চেষ্টা করছে। আমরা কোথায় ছিলাম, সেখান থেকে তো ১৩৯ রান করেছি। ভালো পেসার-স্পিনারও আছে এখন। তবে আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে।’