Advertisement
  • হোম
  • খেলা
  • ‘আগে যেটা আউট, এবার সেটা ছক্কা’—উডের কাছে এই ফর্মু...

‘আগে যেটা আউট, এবার সেটা ছক্কা’—উডের কাছে এই ফর্মুলা শিখছেন জাকেররা

প্রথম আলো

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট, ২০২৫

বাংলাদেশের উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান জাকের আলীছবি: শামসুল হক
বাংলাদেশের উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান জাকের আলীছবি: শামসুল হক

শুধু টি-টোয়েন্টি নয়, সীমিত ওভারের যেকোনো ফরম্যাটেই এখন মূল মন্ত্র—‘পাওয়ার ক্রিকেট’। আধুনিক ক্রিকেটে বল উড়িয়ে মারতে পারাটা অনেক সময় ম্যাচের হিসাবই পাল্টে দেয়। এখানেই বারবার উঠে আসে বাংলাদেশের ঘাটতির গল্প। সেই ঘাটতি পূরণেই এশিয়া কাপের আগে বিসিবি এনে দিয়েছে বিশেষজ্ঞ পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডকে।

ঢাকায় প্রথমে স্থানীয় কোচ আর নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। এরপর শুরু করেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে। রাজধানীতে তিন দিনের অনুশীলন শেষে আগামী পরশু থেকে সিলেটে শুরু হবে মূল স্কিল ক্যাম্প।

আজ মিরপুরে এসে জাতীয় দলের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান জাকের আলী শোনালেন উডের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা, ‘আমাদের পাওয়ার হিটিংয়ের কিছু স্কিল নিয়ে কাজ হচ্ছে। কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়। যারা জেনেটিক্যালি ভালো আছে, তারা কীভাবে আরও ভালো করতে পারে। যারা টাইমার, তাদেরকে কীভাবে আরও ২-৩ মিটার ভালো দূরত্ব দেওয়া যায়, ওই জিনিসগুলো নিয়ে কাজ হচ্ছে।’

উডের সঙ্গে চুক্তি মাত্র ২৮ দিনের। আগামী ৩ সেপ্টেম্বরই দেশে ফিরবেন তিনি। তাই বৈপ্লবিক কোনো পরিবর্তনের সুযোগ নেই, সেটি ক্রিকেটারদের আগেই বুঝিয়ে দিয়েছেন ইংলিশ কোচ। ঢাকায় কিছু মৌলিক কাজ করানো হয়েছে, সিলেটে হবে তারই অনুশীলন—জানালেন জাকের।

অল্প কয়েক দিনে দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে জাকেরের উত্তর, ‘এত তাড়াতাড়ি মন্তব্য করা ঠিক হবে না। কী উন্নতি হলো, কী না হলো, এগুলো বুঝতে আরেকটু সময় লাগবে। কিন্তু আমাদেরকে যে কাজগুলো দেওয়া হয়েছে, ওই কাজগুলো আমরা করার চেষ্টা করছি। এই সুইং প্র্যাকটিসগুলো কিংবা ডিফারেন্ট ড্রিলসগুলো অবশ্যই কাজে আসবে।’

কোচ উড এসেছেন একেবারে স্পেশাল এক ব্যাট নিয়ে। ‘প্রো ভ্যালোসিটি’ নামের এই ব্যাট ক্রিকেটারদের ব্যাট স্পিড আর হাত-চোখের সমন্বয়ে সাহায্য করে। ব্যাটটা ঘোরালে যে শব্দ হয়, সেটাই বলে দেয় শটের শক্তি কেমন হলো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিমধ্যে তার অনুশীলনের কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।

এই ব্যাট নিয়ে অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে জাকেরের হাসি, ‘যখন যে কয়টা সাউন্ড বের করতে বলে, ওইটা যদি বের করা যায়, তখন ভালো লাগে। কিন্তু অনেক ফোর্স লাগে এটা বের করতে। সাউন্ডটা বের করতে ফোর্স লাগে, আরও এফোর্ট দিতে হয়। তো এই জিনিসগুলো নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করলে অবশ্যই কাজে দেবে।’

তবে নিজের খেলার ধরন পাল্টে ফেলতে হবে—এমনটা নয়। জাকেরের ভাষায়, ‘যারা টাইমার, তারা কীভাবে আরও ৪-৫ মিটার বাড়াতে পারে শটের দূরত্ব, সেটা নিয়ে কাজ করার কথা বলেছে। টাইমারদের কিন্তু পাওয়ার হিটার হতে বলেনি সে। টাইমাররা টাইমারই থাকবে। তারা কীভাবে শটের দূরত্ব আরও ৪-৫ বা ৬ মিটার বাড়াতে পারে...এটা হলে যা হবে, আগে যেটা আউট হতো, সেটা এখন ছক্কা হয়ে যাবে।’

বাংলাদেশ দলে ‘পাওয়ার হিটার’ হিসেবেই পরিচিত জাকের। তিনি নিজে কতটা শিখলেন—প্রশ্নটা কোচের দিকে ছুড়ে দিয়ে শুধু এতটুকুই বললেন, অভিজ্ঞতাটা ‘ভালো’ই হচ্ছে।

Lading . . .