নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার ম্যাচেই মুশফিককে ছাড়িয়ে গেলেন ব্রেন্ডন টেলর
প্রকাশ: ৮ আগস্ট, ২০২৫

চার বছরের দীর্ঘ বিরতি, তার মধ্যে ছিল নিষেধাজ্ঞা আর বিতর্কে মোড়ানো অধ্যায়। কিন্তু সব পেছনে ফেলে আবার টেস্ট ক্রিকেটে ফিরলেন ব্রেন্ডন টেলর। আর ফিরেই গড়লেন অনন্য এক রেকর্ড—চলমান খেলোয়াড়দের মধ্যে এখন তিনিই টেস্টে সবচেয়ে দীর্ঘ ক্যারিয়ারের মালিক।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বুলাওয়েতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নেমেছেন জিম্বাবুয়ের এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। এ ম্যাচ দিয়েই তিনি ছাড়িয়ে গেছেন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিমকে। টেলরের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ২০০৪ সালের ৬ মে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারারেতে। সেই হিসাবে আজ তার ক্যারিয়ারের বয়স ২১ বছর ৯৩ দিন, যা টেস্ট ইতিহাসে দীর্ঘতম ক্যারিয়ারধারীদের তালিকায় ১২তম।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে আইসিসির দুর্নীতি দমন বিধি এবং ডোপিংবিরোধী আইন ভাঙার দায়ে সাড়ে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ব্রেন্ডন টেলর। সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে অবশেষে মাঠে ফিরলেন আজ। তার ফেরাটা শুধু আবেগঘনই নয়, ইতিহাসগড়া।
টেলর যদিও ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় মিডল অর্ডারে খেলেছেন, তবে ফিরতি টেস্টে তাকে দেখা যাচ্ছে ওপেনার হিসেবে।
গত বছর ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের অবসরের পর বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ টেস্ট ক্যারিয়ারের মালিক ছিলেন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম (২০ বছর ৩৩ দিন)। আজ টেলরের ফেরার মধ্য দিয়ে সেই জায়গা দখল করে নিলেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক।
টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ক্যারিয়ারের মালিক অবশ্য ইংল্যান্ডের উইলফ্রেড রোডস, যার ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে। কিন্তু ক্রিকেটীয় কারণে সবচেয়ে দীর্ঘ ক্যারিয়ারের তালিকায় আছে শচীন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান ক্লোজ এবং এখন যুক্ত হলেন টেলর।
অন্যদিকে, এক দারুণ ব্যতিক্রম জন ট্রাইকোসের গল্পও আলোচনায় এসেছে—দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১৯৭০ সালে অভিষেকের পর ২২ বছর ২২২ দিন পর জিম্বাবুয়ের হয়ে টেস্টে ফিরেছিলেন তিনি।
ব্রেন্ডন টেলরের এই প্রত্যাবর্তন শুধু ব্যক্তিগত নয়, জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ইতিহাসেও এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। সময় বলে দেবে, এই ফিরে আসা কতটা প্রভাব রাখবে দলের ভবিষ্যতে। তবে একথা নিশ্চিত—আজকের দিনটা ব্রেন্ডন টেলরের, একজন ‘ফিনিক্স’ যিনি আবারও ছাই থেকে জেগে উঠলেন।